প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:০০:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় নব নির্মিত ৩য় তলা বিশিষ্ট ডি.কে.এস.কে আদর্শ স্কুল ও কারিগরি কলেজ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র। নান্দনিক আধুনিক মানের এই বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে উপজেলার মানুষ বিভিন্ন দূর্যোগে যেমন নিরাপদ আশ্রয় পাবে। তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা সারা বছর ক্লাস করতে পারবে। এতে তাদের শ্রেণীকক্ষ সমস্যরও সমাধান হয়েছে।
জানা যায়, সরকার সারা দেশে বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙ্গন এলাকায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করছে। সেই ধারা বাহিকতায় কামারখন্দ উপজেলার ডি.কে.এস.কে আদর্শ স্কুল ও কারিগরি কলেজে একটি ৩ তলা বিশিষ্ট বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এই বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে বিভিন্ন দূর্যোগে উপজেলার প্রায় ২ হাজার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সারা বছর ভবনে ক্লাস করতে পারবে। যা একসাথে দুই কাজেই বড় ভূমিকা পালন করবে।
ডি.কে.এস.কে আদর্শ স্কুল ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মমিনুল ইসলাম তালুকদার জানান,তার প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী। সেই অনুপাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম সংকট ছিল অনেকদিন ধরে। বর্তমান সরকারের আমলে চলতি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে তার প্রতিষ্ঠানে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটিতে মানুষ দূর্যোগে আশ্রয় নিতে পারবে। আর বাকী সময় তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারবে। কেন্দ্রটি পেয়ে তিনি দারুন খুশি।
তিনি উল্লেখ করেন, বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্রটি এলাকার মানুষের বিপদে যেমন আশ্রয় দিবে। তেমনি সারা বছর তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সুন্দর মনোরম পরিবেশে ক্লাস করতে পারবে। এখানে ৯ টি সুবিশাল ক্লাস রুম ও একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। এতে তার প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষ সমস্যর সমাধান হয়েছে। পাশাপাশি তার প্রতিষ্ঠানের সুন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের কঠোর মনিটরিংয়ের কারনে যথাযথভাবে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ হওয়ায় তিনি সন্তোশ প্রকাশ করেন।
কামারখন্দ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মোঃ শফিউর রহমান জানান,প্রায় ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ৩ তলা বিশিষ্ট বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে নানা দূর্যোগে উপজেলার প্রায় ২ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি ডি.কে.এস.কে আদর্শ স্কুল ও কারিগরি কলেজের শিক্ষার্থীরা সারা বছর ক্লাসরুম হিসেবে আশ্রয়ন কেন্দ্রটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রকল্পটির কাজ শেষ করে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করেছি। শিঘ্রই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।