প্রতিনিধি ৮ মে ২০২০ , ৭:৩২:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে ভূমিদস্যু ও গরু চোর ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ খইল্লার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী সদস্য ও কল্যাণ ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান এম.হেদায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বগাচতর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হাদীর ছেলে ইব্রাহিম খলিল (৫২) একটি গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর ঐ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী তাকে মুচলেকার পরিবর্তে ছাড়িয়ে আনেন। এরপরই সে এলাকা থেকে পালিয়ে এসে অনুমোদন বিহীন নাম সর্বস্ব অনলাইনের লেখক বনে যায়। কথিত অনলাইনে যা ইচ্ছা লিখে সে ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছিল।
এ নিয়ে সাংবাদিকরা তার অত্যাচারের শিকার বিভিন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় সে প্রেসক্লাবের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। সম্প্রতি সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আল মামুন প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করে সেখানে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দেবার ঘোষণা দেন। বিভিন্ন পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশিত হলে ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ খইল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের ছবিসহ কথিত অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকদেরকে ভূমিদস্যু উল্লেখ করে লাগাতার অপপ্রচার শুরু করে।
এতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতারা চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন, পাশাপাশি মানহানি করায় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মামলার পরপর তদন্তকারী অফিসার এস.আই হারুন তার দুই বৌ’কে নিয়ে থাকা দুই বাড়িতেই অভিযান চালান। এসময় সে পালিয়ে যায়।
এস.আই হারুন জানান, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে তার বিরুদ্ধে মামলা হবার পর ইব্রাহিম খলিলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তিরা আইনগত ব্যবস্থা করতে প্রেসক্লাবের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তার এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন, অনুমোদন বিহীন অনলাইনে লিখে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সে মানুষকে এমন অত্যাচার করছে যে মানুষ চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, সে গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলো। আমিই তাকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনি। তার সম্পর্কে আর কি-ই বলা যায় ?
সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, তার বিরুদ্ধে অন্যের বৌ ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে, ২০১৩-১৪ সালে নাশকতায় ইন্ধন দেওয়া, গরু চুরি, নানান কাজ করে দেবার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্নসাতসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ফেসবুককে হাতিয়ার করে সে সম্মানিত মানুষের সম্মান নিয়ে টানাটানি করছে। আমার সম্মান হানির কারণে আমিও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব শীঘ্রই।
সীতাকুণ্ডের এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলম বলেন, এই লোকটি একেক সময় একজনের উপর ভর করে সব অপকর্ম থেকে রেহায় পেয়ে পেয়ে আজ এত দুঃসাহসী হয়ে উঠেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংবাদিককে মানহানি করলে আর অন্য নেতাদের সম্মান রাখল কোথায় ? তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।