প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩:৫১:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজে অগ্রগতি নেই। জানা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, নির্মাণ, মেরামত ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসে। নির্ধারিত সময়ে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় না হওয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার অর্থ উত্তোলন করে বিশেষ ফান্ড হিসাবে ব্যক্তিগত তহবিলে জমা করেন। পরবর্তিতে ৬৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকূলে বরাদ্দকৃত প্রতিটিতে ২ লক্ষ টাকাসহ আনুসঙ্গিক বরাদ্দ মিলে সর্বমোট প্রায় ৪ লক্ষ টাকা এবং ৪০ টি বিদ্যালয়ের অনুকূলে প্রতিটিতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ অনুসঙ্গিক বরাদ্দকৃত অর্থ গত এক মাস আগে ছাড় দেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার হারুন-উর রশিদ প্রতিটি বিদ্যালয়ে শর্তজুড়ে দেন বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি কোমলমতি শিশুরা যাতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করতে পারে ও দিবসটির তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে সে দৃষ্টিকোন থেকে যেখানে শহীদ মিনার নেই সেখানে তা নির্মাণ করতে হবে। তার উদ্যোগ সচেতন মহলে ব্যাপক প্রশংসনীয় হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতি উল্লেখিত অর্থ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সঠিক তদারকি না থাকায় নির্মিতব্য শহীদ মিনারগুলো সিডিউল ও নকশা বহির্ভুতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে প্রতিটির অনুকুলে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে অধিকাংশ অর্থই তাদের পকেটে চলে যাচ্ছে। এদিকে উপজেলার হলদিয়া, রাজিবপুর, ধনেরভিটা, উত্তর কিশামত, দক্ষিণ কেকৈ কাশদহ, কাশদহ, ঝিনিয়া, শান্তিরাম মডেল, দক্ষিণ রামজীবন, চন্ডিপুর-২, কঞ্চিবাড়ি-১ ও পশ্চিম পরানসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, নির্মিতব্য শহীদ মিনারসহ অন্যান্য কাজে ব্যাপক ফাঁক ফোকর। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বিভিন্ন অজুহাতে উপজেলা শিক্ষা অফিস তাদের দেয়া বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে অর্থ কর্তন করায় তারা সিডিউল অনুসরণ করে কাজগুলো করতে পারছে না। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হারুন-উর রশিদ জানান, বরাদ্দকৃত অর্থের কাজ সঠিকভাবেই বুঝে নেওয়া হবে তবে তিনি অর্থ কর্তনের বিষয় অস্বীকার করেন।