প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ৭:১৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকৃত সেবক হয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৫নং গোপীনাথপুর ইউনিয়নবাসীর সেবা করার সুযোগ চেয়েছেন গোপীনাথপুর উত্তরপাড়ার মরহুম আক্তারুজ্জামান (ভূলু) মিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র অব. পুলিশ কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান মিয়া (তারেক)। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যেই তিনি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার ছোট বড় সকলের সাথে করছেন মতবিনিময়, উঠান বৈঠক ও পথসভা। এতে ব্যপক সাড়াও পেয়েছেন তিনি।
আমাদের প্রতিবেদক নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ করতে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়েও তার সত্যতা খুঁজে পান। গোপীনাথপুর ইউনিয়ন বাসীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, তারেকের পিতা একজন ঘোর আওয়ামী সমর্থক ছিলেন। তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই তিনি তার জীবনকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং সন্তানদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারেক মিয়া ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন পরোপকারী একজন মানুষ। তিনি সরকারি চাকুরি করার পাশাপাশি এলাকার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের খোঁজখবর রাখতে ভুলতেন না। এলাকার কেউ বিপদে পড়লে তার সাধ্য অনুযায়ী তাকে তিনি বিপদ মুক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতেন। এছাড়া তার উসিলায় এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের মধ্যে অনেকেরই সরকারি-বেসরকারি চাকুরী জুটেছে। এতে অনেক পরিবার স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে।
চাকুরী করার সুবাদে আমরা চাইলেও তাকে কখনো কাছে পাইনি। কিন্তু তিনি সর্বদাই অসহায় দিনমজুর, ভ্যানচালক সহ খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাছাড়া তিনি শিক্ষিত ও নির্লোভ মানবিক একজন মানুষ। করোনা মহামারীর সময় তিনি নিজস্ব তহবিল থেকে এলাকার অনেক অসহায় পরিবারকে নগদ অর্থ ও খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি অবসরে গিয়েছেন। তাই সে যদি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারেন। তাহলে আমাদের পিছিয়ে পড়া এলাকার ব্যাপক উন্নতি ঘটবে বলে আমরা অসহায়, গরীব দুঃখী মানুষ মনে প্রাণে তা বিশ্বাস করি।
এ বিষয়ে ৫নং গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অব. পুলিশ কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান মিয়া (তারেক) বলেন, আমার ছেলে সন্তানরা সকলেই প্রতিষ্ঠিত। জীবনে চাওয়া-পাওয়ার আর কিছুই নেই। মহান আল্লাহ পাক আমাকে যা দিয়েছেন তাতেই আমি তুষ্ট। আল্লাহপাকের রহমতে জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আমি অতীতের ন্যায় সামনের দিকে এগোতে চাই। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি জনসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে চাই। এলাকার সম্মানিত জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি অবশ্যই গোপীনাথপুর ইউনিয়নকে একটি পরিপূর্ণ মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করবো বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।