প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৯:৩৯:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মুমিনুল বলেন, টেস্টে ২০ বছর হয়ে গেছে। আমাদের তেমন উন্নতি হয়নি। আমাদের আরো ইমপ্রুভ করতে হবে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যখন জিতেছিলাম তখন কিন্তু এত কথা হয়নি। এখন হেরে যাওয়ায় হচ্ছে। ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। লম্বা সময় ক্রিজে থাকার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
সাকিব আল হাসানের বিকল্প হিসেবে সৌম্য সরকারকে দলে নেয়ার পক্ষেও যুক্তি দাঁড় করালেন মুমিনুল।
তিনি বলেন, সাকিব ভাই চলে যাওয়ায় মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে একজন ব্যাটসম্যান দরকার ছিল। সেজন্য আমি সৌম্যকে চেয়েছিলাম। সৌম্য আগেও টেস্ট খেলেছে। সে অভিজ্ঞ ছিল। হেরে যাওয়ায় এগুলো আলোচনায় এসেছে কারণ আমরা হেরেছি। জিতলে হয়ত আলোচনায় আসতোনা।
তবে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছেন টেস্ট অধিনায়ক। তিনি বলেন, যে লক্ষ্য ছিল তা এই উইকেটে চেজ করা কঠিন ছিলনা। কিন্তু টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার কলাপস করার কারণে এমনটা হয়েছে। চারদিনে কখনোই আমার মনে হয়নি ডিফিকাল্ট উইকেট ছিলো। বাউন্সি ছিল না। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে খেলতে চাইলে এটা আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। ব্যাটিংয়ে আমরা বাজেভাবে কলাপস করেছি। সে কারণে আর ফিরে আসতে পারিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি আমরা। সৌম্য ও তামিম যেভাবে শুরু করেছে তখন আমরা খেলার মধ্যেই ছিলাম। কিন্তু দুই-তিনটা উইকেট বেশি পড়ে যাওয়ায়, আর ফিরে আসা যায়নি। তবে শেষদিকে মিরাজ বেশ ভালোভাবে কামব্যাক করেছে।
ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে উন্নতি করতে হলে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প দেখছেন না মুমিনুল।
তিনি বলেন, বিদেশেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছি। এবার ঘরের মাঠেও হলাম । অনেক ইমপ্রুভ করার আছে টেস্ট ম্যাচে আমাদের। সেগুলো করলে হয়তো টেস্টে আমরা আরো এগিয়ে যেতে পারবো। সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে। তার আগে আমাদের ভুল শুধরে নিতে হবে।
অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মুমিনুলকে। তার মনে হয়েছে, দায়িত্বটা বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে তার কাছে।
তিনি বলেন, অধিনায়ক হিসেবে আমি সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ ফেস করেছি। করোনার মাঝে এক বছর পর আমরা খেলতে নেমেছি। অনেকদিন পর খেলতে নামার কারণে আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে।