প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২১ , ৫:৫৮:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় সেন্টমার্টিনের অদূর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২২ জেলেকে ১৩ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী।
শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টায় কোস্ট গার্ডের প্রচেষ্টায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘাটে এসে পৌঁছায় চার ট্রলারসহ মাঝিমাল্লারা।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিক থেকে দুই দফায় চারটি মাছ ধরার ট্রলারসহ মোট ২২ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার নৌবাহিনী।
ট্রলারসহ জেলেরা ফেরত আসার বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, মাঝিমাল্লাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলারগুলো ফিরেছে। মূলত কোস্ট গার্ডের প্রচেষ্টায় ট্রলারসহ জেলেদের ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় জেলেরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুরুল আমিন, মো. আজিম, মো. হোসেন এবং তার ছেলে মো. ইউনুছের মালিকাধীন চারটি মাছ ধরার ট্রলারে করে ২২ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ শিকারে যান।
সর্বশেষ শনিবার সকালে দ্বীপের পূর্বদিকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা তীরে এসে জনপ্রতিনিধিসহ ট্রলার মালিকদের বিষয়টি জানান। অবশেষে ধরে নিয়ে যাওয়ার ১৩ ঘণ্টা পর তারা ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ১৩ ঘণ্টা পর তার দ্বীপের চারটি ট্রলারসহ ২২ মাঝিমাল্লা ফেরত এসেছে।
ট্রলার মালিক মো. আজিম জানান, সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিজিবিসহ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করা হয়। পরে কোস্ট গার্ডের প্রচেষ্টায় ১৩ ঘণ্টা পর চারটি ট্রলারসহ জেলেদের ফেরত দেয় মিয়ানমার নৌবাহিনী। তাদের ফিরে আসাতে পরিবারসহ সবার চিন্তা দূর হয়েছে।
সেন্টমার্টিন স্টেশনের কোস্ট গার্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ সেদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং উভয় পক্ষের দীর্ঘক্ষন আলোচন চলে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কার্যক্রম শেষে তাদের ফেরত আনা হয়।
এর আগে ৯ নভেম্বর মাঝিমাল্লসহ তিনটি বাংলাদেশি ট্রলার নিয়ে যায় মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা, এমন অভিযোগ তুলেছেন ট্রলার মালিকরা। সেখানে ২০ জন মাঝিমমাল্লা ছিল। পরে মুক্তিপন দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়।