দেশজুড়ে

১৩ বছর নির্বাচন বিহীন ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম দূর্ভোগে

  প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:৩৬:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ নির্বাচন বিহীন অবহেলীত একটি ইউনিয়নের নাম ১১নং সুয়াবিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিচার ব্যবস্থার নানান অনিয়ম আর দূর্ভোগে ভরপুর। ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবুজ বনবনানী আর হালদা নদীর কোল জুড়ে এই ইউনিয়নের অবস্থান। দ্রæত এই অবস্থান থেকে পরিত্রাণ চায় ইউনিয়নের ৩২ হাজার জনসাধারণ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে ফটিকছড়ির দৌলতপুর, সুয়াবিল ও হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নকে নিয়ে ‘নাজিরহাট পৌরসভা’ গঠনের প্রজ্ঞাপন ঘোষনা করে সরকার। অপরদিকে ফটিকছড়ির ধুরুং ও রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নকে নিয়ে ‘ফটিকছড়ি পৌরসভা’ গঠনেরও প্রজ্ঞাপন ঘোষনা করা হয়। প্রস্তাবিত দুই পৌরসভার পক্ষে বিপক্ষে মামলা মোকদ্দমা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। ২০১১ সালে গঠিত হয় ফটিকছড়ি পৌরসভা এবং নির্বাচন হয় ২০১২ সালে। অপরদিকে ২০১৪ সালে গঠিত হয় নাজিরহাট পৌরসভা গঠিত হয়। তার আগে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ও সুয়াবিল ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড রেখে বাকি এলাকা ইউনিয়ন ঘোষনা করা হয়। ২০১৮ সালে নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচনও হয়। কিন্তু দূর্ভোগে পড়ে সুয়াবিল ইউনিয়ন। ২০০৬ সালের পর কোন নির্বাচন হয়নি এখানে। একজন চেয়ারম্যান, তিনজন পুরুষ ও একজন মহিলা সদস্য নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ৭০.০৮ বর্গকিমি ও ৩১,৬৫০ জন জনসংখ্যার ইউনিয়নটি। অদৃশ্য এক কালো হাতের ইশারায় এখানে নির্বাচন হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার ভূক্তভোগীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে ইউনিয়ন পরিষদ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর অবস্থান রয়েছে পৌরসভার ভিতর। ইউনিয়নবাসীকে সেবা গ্রহণের জন্য যেতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল এলাকা পার হয়ে পৌর এলাকায়। এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। শিক্ষা প্রতিষ্টানের অপ্রতুলতা রয়েছে। কৃষিজিবী মানুষ গুলোর কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। ইউনিয়নের আ’লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মো. হোসেন তালুকদার অভিযোগ করে জানান, চেয়ারম্যান আবু তালেবের নানান কলা কৌশলে এই ইউনিয়নে ১৩ বছর যাবৎ নির্বাচন হচ্ছে না। চেয়ারম্যান তার ইচ্ছে মতো সামাজিক সুরক্ষা সেবা ও করোনাকালীন সহাযতা গুলো বিতরণ করছে। সেখানে দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয় করছে না। এই ইউনিয়নের মানুষ দ্রæত নির্বাচন চায়। অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আবু তালেব চৌধুরী বলেন, ২০০৬ সালের উপ নির্বাচনে নির্বাচিত হই। সীমানা জটিলতা ও পৌরসভার কারণে নির্বাচন হয়নি এতোদিন। সব জটিলতা শেষ। এখন নির্বাচন দেয়া, না দেয়া নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, সুয়াবিল ইউনিয়ন নির্বাচনের আপাদত কোন আইনী জটিলতা নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলেই নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content