প্রতিনিধি ১৭ জুন ২০২০ , ১:২১:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
মিরসরাই(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালি ও হাইততান্দি ইউনিয়নের দূর্ঘম পাড়া গায়ের হত দরিদ্র ১শ ৫০টি পরিবারের ১৫ দিনের খাদ্য ও নগদ টাকার সহযোগীতা ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন চোখের অন্তরালে থাকা এক মানবিক ব্যাক্তি সামছুল আজম। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল পরিবারের ৫ সদস্যের জন্য ১৫ দিনের প্রয়োজনিয় চাল, ডাল, লবন, চিনি, সেমাই, চিড়া, তেল।
এছাড়া এসব পরিবারের প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য ক্রয় করার জন্য প্রতি পরিবারকে নগদ ৫শত টাকা করে পৌছে দেওয়া হয়। শুক্রবার (পহেলা মে) সকাল থেকে সারাদিন প্রত্যেক পরিবারের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয় এসব খাদ্য সামগ্রীও নগদ অর্থ সহায়তা।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এসব খাদ্য সহায়তা গ্রহণকারী কয়েকজন জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে গ্রামীন শ্রমিকদের কাজ বন্ধ। এসব শ্রমিকরা দিন আনে দিন খায়। সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য। সারাদিন রোজা রেখে পরিবারের সদস্যদের মুখে প্রয়োজনীয় ইফতারি সেহেরি তুলেদিতে পারছেনা পরিবারের কর্তা। ক্ষেতে কাজ নেই হাতে টাকা নেই বাজার করার ক্ষমতা নেই নেই প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগীতা।
এমন আবস্থায় খেয়ে না খেয়ে রোজা রাখছে গ্রামের হত দরীদ্র পরিবার গুলো। দরিদ্র মিয়ন বলেন, সবাই সামান্য চাল, ডাল দিয়ে নামকা ওয়াস্তে খাদ্য সহায়তা করে ফটো তুলে। কেউ নগদ টাকা দেয় না, চাল-ডালের পরিমান ও অতি সামান্য। তবে কেরানি বাড়ির আজম সাহেব প্রতিজনকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ১ কেজি চিনি, ২ প্যাকেট স্যামাই, ১ কেজি চিড়া ১ কেজি তেল সাথে নগদ ৫শ টাকা দিয়েছেন। এতে আমাদের আগামি ১৫ দিন নিশ্চিন্তে চলে যাবে। কেউ যদি খাদ্য সহায়তা করে এভাবেই করা উচিত।
সাহেরখালি ইউনিয়নের এবদার আলি ভূঞা প্রকাশ আব্দুল্লাহ কেরানি বাড়ির বাসিন্দা মানবিক ব্যাক্তিত্ব সামছুল আজম জানান, আমি চেষ্টা করেছি এই দূর্সময়ে অবহেলিত হত দরিদ্র মানুষের পাশে একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে। এসব দরিদ্র পরিবার গুলো যাতে অন্তত ১৫ দিনের খাবার নিশ্চিত করতে পারে সেই ভাবে খাদ্য সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া তাদের চহিদা অনুযায়ি সামান্ন ফল প্রুট দিয়ে ইফতার করতে পারে তার জন্য নগদ ৫শ টাকা করে ঘরে পৌছে দিয়েছি।