দেশজুড়ে

১৭ বছর মন্দির,বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও দখল বাণিজ্য করেছে স্বৈরাচার আ.লীগ

  প্রতিনিধি ১০ অক্টোবর ২০২৪ , ৬:৪৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

১৭ বছর মন্দির,বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও দখল বাণিজ্য করেছে স্বৈরাচার আ.লীগ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে সারাদেশে সংখ্যালঘুদের মন্দির,বাড়িঘর,ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা,অগ্নিসংযোগ ও দখল বাণিজ্য করেছে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। সেটার দায় চাপিয়ে দিতো বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর। এসব বিষয়ে অনেক তদন্ত হয়েছে। কিন্তু এর সত্যাতা পাওয়া যায়নি।

প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসররা জড়িত রয়েছে। এবার সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পুজা উদযাপন হচ্ছে। কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছেনা। প্রতিটি মন্দির ও পূজা মন্ডপে বিএনপির নেতাকর্মীরা পাহারা দিচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের শ্রী-শ্রী রক্ষাকালী মন্দির পূজা পরিদর্শনে গিয়ে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছে বিএনপি। ক্ষমতার জন্য নয়। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এসময় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী হামলা-মামলা ও গুম খুনের শিকার হয়েছেন। যারা এসব অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। পাশাপাশি দেরী না করে  ১৭ বছরে  বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল রাজনীতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। কোনভাবে বিলম্ভে করা যাবেনা। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই অন্তবর্তিকালীন সরকারকে। স্বৈরাচারদের বিচার না হলে এই দেশে গনতন্ত্র থাকবেনা। গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবী, একদিকে দেশের মানুষের পক্ষে কাজ করতে হবে,অন্যদিকে হায়না ও খুনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও এবং তাদের দোসদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। একটা রাজনৈতিক লোক কখন পালিয়ে যায় না, যখন ঘরের শত্রু ও জনগনের শত্রুতে পরিনত হয়। তখন তিনি পালিয়ে যান। হাসিনা এদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র পালাইনি। দেশের ভিতর ও ভারতে বসে দেশ, জাতি ও  সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। এছাড়া প্রত্যেকটি সেক্টরে ঘুষ দূনীর্ত বন্ধ করতে হবে। ঘুষ দূনীর্তি বন্ধ না হলে মানুষের হয়রানী বন্ধ হবেনা। যেভাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম চলছে, এটাকে আরো দ্রুতগতিতে করতে হবে। ধীরগতিতে কাজ করা যাবেনা।

জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক এই এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী আরো বলেন, স্বৈরাচারদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোন ষড়যন্ত্রেই কাজে আসবেনা। এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে দেশ থেকে পাচার করা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা। কারন তাদের টাকার অভাব নেই। পাচার করা ঔসব টাকা দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসররা। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আচার-আচরণ পরির্বতন করতে হবে। আগে একভাবে রাজনীতি ছিল। এখন আর সেটা হবেনা। নতুন ধারায়, যুগের সঙ্গে, প্রজম্মের সঙ্গে মিল রেখে রাজনীতি করতে হবে। তাহলেই সুন্দর একটি বাংলাদেশের যে স্বপ্ন, সেটা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করেন তিনি। প্রতিশোধ নিবেন না। প্রতিশোধের ভাষা হবে আইনগত। মামলা হবে, বিচার বিভাগ মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন।

আইনের মাধ্যমে সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু আইনকে নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না কোনোভাবেই। যাতে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যে লড়াইয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছিলাম সেই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের লড়াই এখনো শেষ হয়নি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, আনোয়ার হোসেন বাচ্ছু, ইউসুফ চেয়ারম্যান, বেলাল হোসেন, আবুল কালাম, আলী করিম, কালা মুন্সী,  শ্রী-শ্রী রক্ষাকালি মন্দির কমিটির সভাপতি কৃষ্ণধন দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক প্রণতোষ কর্মকার, চন্দ্রগঞ্জ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দেব নাথ, সাধারণ সম্পাদক সমীর কর্মকারসহ স্থানীয় বিএনপি.যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে গর্ভেনিং কমিটির সভায় অংশ নেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। পরে পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শনসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরির্দশন করেন তিনি।

আরও খবর

Sponsered content