দেশজুড়ে

৩৫ বছর পর চাকসু ও হল সংসদে ভোটগ্রহণ শুরু

  প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২৫ , ১১:১০:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

৩৫ বছর পর চাকসু ও হল সংসদে ভোটগ্রহণ শুরু

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে চলছে ভোটগ্রহণ।

সবশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এবার মোট ৪০টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদে ৪১৫ জন এবং হল সংসদের ১৪টি পদে ৪৯২ জন প্রার্থী রয়েছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন—এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং ছাত্রী ১১ হাজার ৩২৯ জন। ভোটারদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতি শিক্ষার্থীকে ভোট দিতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। একজন ভোটারকে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে। ভোট শেষেই গণনা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ থেকে এবং হল সংসদের ফলাফল জানানো হবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে।

চাকসু নির্বাচনে এবার মোট ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, তবে আলোচনায় রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ—সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—প্রতিটিতে ২০ জনের বেশি প্রার্থী রয়েছেন।

পদভিত্তিক প্রার্থীর সংখ্যা:

  • ভিপি পদে ২৪ জন
  • জিএস পদে ২২ জন
  • এজিএস পদে ২১ জন
  • মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ১৭ জন
  • খেলাধুলা সম্পাদক ১২ জন
  • সহখেলাধুলা সম্পাদক ১৪ জন
  • ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক ১৩ জন
  • সহছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক ১০ জন
  • দফতর সম্পাদক ১৭ জন
  • সহদফতর সম্পাদক ১৪ জন
  • আবাসন সম্পাদক ১৭ জন
  • যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক ১৪ জন
  • আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ৯ জন
  • পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ২০ জন
  • সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক ১৭ জন
  • সহসাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক ১৫ জন
  • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ১১ জন
  • গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক ১২ জন
  • সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক ২০ জন
  • স্বাস্থ্য সম্পাদক ১৫ জন
  • ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৬ জন
  • নির্বাহী সদস্যের ৫ পদে ৮৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভোটের দিন শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাড়তি শাটল ট্রেন ও দুইটি স্পট থেকে বিশেষ বাস সেবা চালু করেছে।

পুরো ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ সদস্যের নিরাপত্তা টিম, যার মধ্যে রয়েছেন পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন, বিজিবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী, রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা। এছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন ক্যাম্পাসজুড়ে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ২৮ আগস্ট। এরপর যাচাই-বাছাই ও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সব প্রক্রিয়া শেষ করে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয় প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা। শুরুতে ভোটের তারিখ নির্ধারিত ছিল ১২ অক্টোবর, তবে শিক্ষার্থীদের দাবির পর তা পিছিয়ে আজ ১৫ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content