প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ৪:৩১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুল বারী খন্দকার, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) : উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মালশিন গ্রামের মৃত ফেলা ফকিরের ছেলে মো. আকবর আলী। বিবাহের পর প্রথম সন্তান আফরোজা খাতুনের জন্ম দেন। জন্মের পর মেয়েটির বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হারাতে থাকেন দৃষ্টি শক্তি। এক পর্যায়ে একটি চোখ তুলে ফেলতে হয়। বিয়ে দেন গ্রামেই। অপর চোখটিরও দৃষ্টি শক্তি হারানোয় ঠাঁই হয়নি স্বামীর বাড়ি। একটি সন্তানসহ অবস্থান করছেন বাবার কাঁধে।
দ্বিতীয় সন্তান মনসুর রহমান টুটুল। দৃষ্টি নিয়ে জন্ম নিলেও বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেও দুটি চোখের দৃষ্টি হারিয়ে অন্ধ প্রায়। কর্মে অক্ষম টুটলও স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ অনেকটাই বাবার উপর নির্ভরশীল।
তৃতীয় সন্তান বিবাহযোগ্য মাফফুজা খাতুন। বড় বোন ও ভাইয়ের মত তারও একই অবস্থা। ইতিমধ্যে প্রায় হারিয়ে ফেলেছে দুচোখের দৃষ্টি শক্তি। চতুর্থ সন্তানটি এখন পর্যন্ত সুস্থ্য থাকলেও ভবিষ্যত অন্ধকার। তিন প্রতিবন্ধি সন্তান, বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, নাতী-নাতনীসহ পরিবারের ১১ জন সদস্য নিয়ে গাদাগাদি করে কুঁড়ে ঘরে তার বসবাস। একমাত্র উপার্জনক্ষম আকবর আলীর সম্বল বলতে ৩ শতক খাসের উপর কুঁড়ে ঘর এবং পেশা হিসেবে হাতুরে মেকানিক্স।
অসহায় ভূমিহীন আকবর আলী বলেন, পরিবারের ১১জন সদস্য নিয়ে ঘরের অভাবে অনেক কষ্টে বসবাস করছি। যা উপার্জন করি তা দিয়ে সংসার চালানো দায়। ঘর করবার সামর্থ আমার নেই। শুনেছি সরকার থেকে অনেকেই ঘর পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি সন্তানদের নিয়ে নিরাপদে বসবাসের জন্য আমাকে যেন একটি ঘর দেয়া হয়। তিনবেলা ভাত না পেলেও যেনো শান্তিতে ঘুমাতে পারি।