ভারতীয় দল যখন ইংল্যান্ডে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে, তখন ব্যক্তিগত জীবনে বড় ধাক্কা খেলেন শিখর ধাওয়ান। এই ভারতীয় ওপেনারের স্ত্রী আয়েশা মুখার্জি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানিয়েছেন। ৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর ঘর ভাঙল শিখর-আয়েশা দম্পতির।
২০১২ সালে মেলবোর্নে ঘটা করে বিয়ে হয়েছিল আয়েশা-ধাওয়ানের। ৯ বছরের সংসারজীবনে এক পুত্রসন্তানও আছে। নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন এক পোস্ট করে আয়েশা লিখেছেন, ‘আমার একসময় মনে হতো বিচ্ছেদ খুব খারাপ একটা শব্দ। তবে দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আর তা মনে হচ্ছে না। প্রথমবার যখন বিয়ে ভেঙেছিল, তখন আমি বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি বোধ হয় কিছু ভুল করে ফেলেছি। নিজেকে স্বার্থপর মনে হচ্ছিল। মনে হয়েছিল বাবা-মায়ের সম্মান নষ্ট করছি। বিচ্ছেদ এতটাই খারাপ শব্দ বলে মনে হতো তখন।’
শিখর ধাওয়ান ও আয়েশা মুখার্জির মধ্যে প্রথম পরিচয় হয়েছিল হরভজন সিংয়ের মাধ্যমে। পরে সেটি রূপ নিয়েছিল প্রণয়ে। বিয়েতে অবশ্য শিখরের পরিবারের সম্মতি ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত পরিবারকে রাজি করালেও ৯ বছরের বেশি স্থায়ী হলো না এই সম্পর্ক। বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কে শিখর ধাওয়ান এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। কেন তাঁদের বিচ্ছেদ হলো স্পষ্ট নয় সেটিও।
আয়েশার বাবা বাঙালি, মা ব্রিটিশ। তাঁর যখন আট বছর বয়স, তখন তাঁদের পরিবার দিল্লি থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে চলে যায়। শিখরের সঙ্গে বিয়ের আগে অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রথম গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন আয়েশা। ১০ বছরের দাম্পত্যে দুই সন্তানেরও জন্ম হয় সেই ঘরে। এরপর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে জুটি বাঁধেন শিখরের সঙ্গে।