আন্তর্জাতিক

অস্ত্র ফেলে অসহায় আত্মসমর্পণে ইউক্রেন সৈন্যরা, দাবি রাশিয়ার

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:০৯:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ব্যাপকসংখ্যক সদস্য অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের সৈন্যরা পিছু হটছে বলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দাবি করেছে মস্কো।

রুশ বার্তাসংস্থা তাস বলছে, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্য এবং অন্যান্য সদস্যরা অস্ত্র ফেলে তাদের অবস্থান ত্যাগ করছেন। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর যে সদস্যরা অস্ত্র ফেলে দিয়ে পিছু হটেছেন তাদের ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।

এদিকে, রাশিয়ার সদ্য স্বাধীনতার স্বীকৃতি পাওয়া গণপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্ক বলেছে, ইউক্রেনের ৫৭তম মোটরচালিত পদাতিক ব্রিগেড রুশ সৈন্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আক্রমণ শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে বলছে, পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার অন্তত ৫০ দখলদার সৈন্য নিহত হয়েছেন।

এছাড়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। পরবর্তীতে আরও একটি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

পুরো ইউক্রেন দখলের ইচ্ছা নেই: পুতিন

সদ্য স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় গণপ্রজাতন্ত্রী দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে কিয়েভের আগ্রাসন থেকে রক্ষার জন্য দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া ইউক্রেন দখলে নেওয়ার রাশিয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছেন, সামরিক অভিযানের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো— গত আট বছর ধরে কিয়েভ শাসকদের গণহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া লোকজনকে রক্ষা করা। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণ এবং নাৎসিবাদমুক্ত করবে মস্কো। এছাড়া যারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বহুমুখী নৃশংসতা চালিয়েছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের পুরো ভূখণ্ড দখলে নেওয়ার কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেই মস্কোর। রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ডগুলো দখলের পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা কারও ওপর জোর করে কোনো কিছু আরোপ করতে যাচ্ছি না। কিয়েভের সৈন্যরা এখনও রাশিয়ার স্বাধীন ঘোষণা করা দনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by