প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ , ৫:২৩:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিনের আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছে আদালত। একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী শাহবাগ থানার তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। পুলিশ মামলাগুলোয় রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। শুনানিকালে রিজভীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘এ নিয়ে সিএমএম আদালত তৃতীয় দফা জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হলো। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইতে পারি।’
এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাস ও মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ১২ ডিসেম্বর জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গত ৯ ডিসেম্বর বিকেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ১২ ডিসেম্বর জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এরপর ফের জামিন আবেদন করা হলো।
গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের অভিযান চলাকালে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৫০ জনকে আটক করা হয়। যার মধ্যে রিজভী, অ্যানিসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ১৪ আসামির দুই দিনের রিমান্ড এবং বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে আটক রাখার আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিট থেকে সোয়া ৫ টা পর্যন্ত বিএনপির দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পল্টন মডেল থানাধীন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাঙ্গামা করে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ ও বলপ্রয়োগ করে গুরুতর জখম করে। ক্ষতি সাধনের জন্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি সহ ব্যক্তি বা জনগনের সম্পত্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়।
এই ঘটনায় উপকমিশনার মতিঝিল বিভাগ ও অতিরিক্ত কমিশনার মতিঝিল জোনসহ অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন হয়। মামলাটি তদন্তকালে মির্জা ফখরুল ও আব্বাস ওই ঘটনার পরিকল্পনাকারী, উসকানিদাতা এবং নির্দেশদাতা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।