বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক চাপে নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে: সাকি

  প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:৫৩:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন আন্তর্জাতিক চাপে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মেজর হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপতি ‘এম এ জি ওসমানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে এ  স্মরণসভার আয়োজন করে জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশন।

তিনি বলেন, ‘এতদিন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন ছিল না। আইনটা করার দরকার ছিল, করেছে। এই আইন নিয়ে কেউ কথা তুলছে না। এই আইন নিয়ে কথা তোলা দরকার। এই আইনে নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হাতে। সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নাম দিবেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নিয়োগ দিবেন। এর মধ্যে নতুনত্বের কিছু নেই।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার আগে যেটা করেছে সেটাকে আইনসিদ্ধ করলো। আন্তর্জাতিকভাবে তারা চাপে রয়েছে বলে এই আইন করা হয়েছে। সামনে যে আরেকটা ভোট ডাকাতির নির্বাচন করবেন সেটাকে আরেকটু আইনের মোড়ক দিলেন। এটা যে তামাশা তা পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এরা এমন একটা সরকার, যারা রাতকে দিন বলে। দিনের ভোট যারা রাতে করে তারা রাতকে দিন বলবেই। এই সরকারকে যেতে হবে৷ যেতেই হবে। আজ হোক-কাল হোক। চিরদিন থাকতে পারবেন না।’

জেনারেল ওসমানীর জীবনের নানা দিক ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান তুলে ধরেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি বলেন বলেন, ‘ওসমানী ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। জেনারেল ওসমানী যেনো ইতিহাস থেকে হারিয়ে না যায় তার জন্য আজকের মত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং ইতিহাসের সঠিক জায়গায় উনাকে স্থান দিতে হবে।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদাসহ যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে দিনের ভোট রাতে করেছে, সে অপরাধের জন্য তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।এম এ জি ওসমানী জীবনে নীতির সঙ্গে আপোষ করেন নাই। ৭৫ সালে শেখ  মুজিবের বাকশাল  ও সংসদ হতে পদত্যাগ করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।তিনি আজীবন ন্যায়ের পথে ছিলেন।’

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, ‘আজকের এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে হওয়ার উচিত ছিল। সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল সেনাপ্রধানকে। কিন্তু প্রতিহিংসার কারণে এই দিনগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by