ঢাকা

আশুলিয়ায় পারিশ্রমিকের টাকা চাওয়ায় মোটরসাইকেল মেকানিকের উপর হামলা

  প্রতিনিধি ১ জানুয়ারি ২০২৩ , ৪:৪০:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ

ঢাকার আশুলিয়ায় কাজের পারিশ্রমিক চাওয়া হেলমেট দিয়ে মোটরসাইকেল মেকানিক মামুন মীরের মাথায় আঘাত করেছে সিরাজ মৃধা নামের এক প্রভাবশালী।

রোববার সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল কাঠালতলা এলাকার মামুন মিরের মোটরসাইকেল গ্যারেজে এই হামলার ঘটনা ঘটে ।

ভুক্তভোগী মামুন মীর পিরোজপুর জেলার চিড়াপাড়া মিরাবাড়ি এলাকার মৃত মনসুর মীরের ছেলে। সে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার আব্দুলের বাড়িতে ভাড়া থেকে চিত্রশাইল এলাকায় মোটরসাইকেল সার্ভিসিং এর ব্যবসা করে আসছে। অন্যদিকে বরিশাল জেলায় সিরাজ মৃধার গ্রামের বাড়ি। সে আশুলিয়ার চিত্রশাইল কাঠালতলা এলাকার মৃত ইয়ানুছ মৃধার মেয়ের জামাই।

ভুক্তভোগী মামুন মীর অভিযোগ করে বলেন, আমি সকালে দোকান খুলি। দোকান খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত ইয়ানুছ মৃধার মেয়ের জামাই সিরাজ মৃধা আমার দোকানে সার্ভিসিং এর জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে আসে। আমি তার মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করে দেই। কাজ শেষে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ার সময়ে আমি পারিশ্রমিকের টাকা চাওয়ায় আমার প্রতি সে অযথা ক্ষিপ্ত হয়ে হেলমেট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠায়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই। এই ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ করবো বলে সে জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিরাজ মৃধা একটা দুষ্কৃতি টাইপের একটা লোক। মাঝেমধ্যেই এই ধরনের কাজ করে থাকে। সিরাজ তার শশুর বাড়ীর লোকজনের ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকায় নানান অপরাধ মূলক কাজ করে থাকে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। আজকের সকালে কাজের পারিশ্রমিক চাওয়ায় মোটরসাইকেল মেকানিক মামুনের মাথায় হেলমেট দিয়ে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই।

এব্যাপারে অভিযুক্ত সিরাজ মৃধার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় হঠাৎ দেখি আমার হোন্ডার তেল পরতে থাকে। হোন্ডা ঠিক করানোর জন্য মামুন মেকানিকের দোকানে নিয়ে যাই। আমার কথা মতো আমার হুন্ডা ঠিক করে দেয় এবং টাকা চায়। আমার কাছে টাকা ছিলোনা বিধায় পরে দেওয়ার কথা বলি। আমার কথায় রাজি না হয়ে আমাকে বকা দেয়। যার কারণে রেগে গিয়ে আমি ওকে একটা বারি দিয়েছি। এটা আমার অপরাধ হয়েছে।

এই বিষয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছে।

Powered by