ময়মনসিংহ

ইসলামপুরে যমুনায় পাইলিংয়ের সিসি ব্লকে ধস

  প্রতিনিধি ১৭ জানুয়ারি ২০২১ , ২:৪০:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

সাদ্দাম হোসেন,জামালপুর প্রতিনিধি:

 

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় চিনাডুলী থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনা নদীর বামতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় প্রতিবছর যমুনার পানির স্রোতে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাইলিংয়ে ধসসহ বিস্তীর্ণ এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে প্রতি বছর বর্ষাকালে। যমুনার বামতীরে বাঁধটি নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও ঘর-বাড়িসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন। জানা গেছে, জামালপুর জেলার সবচেয়ে বেশি বন্যা কবলিত এলাকা ইসলামপুর উপজেলা। জেলার ইসলামপুরকে নদীভাঙন থেকে রক্ষাকবজ যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ওপর স্থায়ী বাঁধ না থাকায় যমুনার ফুঁসে উঠা পানি প্রতিবছর পাইলিংয়েল ওপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। পানির স্রোতের চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বিভিন্ন স্পটে পাইলিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। এছাড়াও যমুনা বামতীর সংরক্ষণ পাইলিং উপচে পানি প্রবল স্রোতে ও বালুতে জেলার ইসলামপুরের চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন হয়ে মেলান্দহ ও জামালপুর জেলার পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট ও ঘরবাড়ি-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। ফলে যমুনার বামতীরবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ বন্যা চলে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সারা বছর মানবেতর জীবন যাপন করে। এলাকাবাসীর দাবি যমুনার বামতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে এলাকার প্রায় ২০ হাজার একর জমির ফসলসহ বাড়ি-ঘর রাস্তা, ব্রীজ-কালভার্ট বন্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে। তাই এলাকাবাসী বিশেষ কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪ ফুট প্রশস্ত ও ১৫ ফুট র্উচু করে যমুনার বামতীরে জরুরি ভিত্তিতে ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের মামুন ডাক্তারের বাড়ি থেকে উলিয়া পর্যন্ত যমুনার বাম তীরে ৮ কিলোমিটার বাঁধ রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ ব্যাপারে চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম ভোরের দর্পণকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনার ভাঙ্গন থেকে বাঁচাতে যমুনার বামতীরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলিং নির্মাণ করেছেন কিন্তু বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই যমুনার পানির চাপে পাইলিংসহ রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাঁধটি নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ঘর-বাড়িসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে।

Powered by