রংপুর

উন্নত মানের পরচুলা চুরি খানসামার ইপিজেড কর্মী সুমি আটক

  প্রতিনিধি ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ , ৭:২৪:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :

উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীণ কোম্পানি থেকে উন্নত মানের পরচুলা চুরি করতে গিয়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের খামার বিষ্ণুগঞ্জ গ্রামের মোছা. সুমি আক্তার ওরফে এসপি সুমি চৌধুরী নামে এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ফেসবুকে এসপি পদবী ব্যবহার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী দাবি করা আটক সুমি চৌধুরী উপজেলার খামার বিষ্ণুগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে ও তার স্বামী একই উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের রাকিব। তিনি ইপিজেডে কাজ করার সুবাধে গত ৩-৪ বছর ধরে কোম্পানির তৈরিকৃত উন্নত মানের পরচুলা চুরি করে পরিবারের সদস্যদের দিয়ে বিক্রি করে হয়েছেন কোটি টাকার মালিক। থানা পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই পরচুলা চুরির সাথে জড়িত সুমিকে নজরদারিতে রেখেছে ঐ কোম্পানির প্রতিনিধি ও নিরাপত্তাকর্মীরা। এর মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে এভারগ্রীন কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে তল্লাশি করে প্রায় ৩ কেজি ২শ গ্রাম উন্নতমানের পরচুলাসহ আটক করে। এর বাজার মূল্য প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা। পরে থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে এভারগ্রীন কোম্পানি। এ ঘটনায় উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীণ কোম্পানি বাদী হয়ে নীলফামারী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেননা এই ঘটনার পূর্বে তার লাইফস্টাইল ছিল সন্দেহজনক। তার জীবন-যাপন ও সংসার পরিচালনা ছিল উচ্চবিত্তের মত। বিগত ৩-৪ বছর থেকে এই অপকর্মের মাধ্যমে সুমিসহ তার ভাই ও দুলাভাইরা অনেক অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছে বলে এলাকার মানুষেরা জানায়। আটকের পর থেকে পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নীলফামারী সদর থানার এসআই শামীম জানান, আটক সুমিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত চক্রকে আটকে থানা পুলিশ তদন্ত পরিচালনা করছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মুক্তারুল আলম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার সুমীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Powered by