চট্টগ্রাম

এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে- পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং

  প্রতিনিধি ৬ মে ২০২৩ , ৭:২১:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :

জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলাম ধর্মের শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রসার ও গবেষণার জন্য প্রথম দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলেন,তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী  শেখ হাসিন ঈমামদের কল্যানের জন্য ঈমাম কল্যান ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন।

বাংলাদেশে ইসলামিক শিক্ষার প্রচার ও ইসলামিক গবেষণার জন্য ৬৪ টি জেলা,উপজেলা,সিটি কর্পোরেশন,পৌরসভা মিলিয়ে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।পার্বত্য অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের প্রসারে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।তাই বিগত যে কোন সরকারের চাইতে পার্বত্য বান্দরবানে সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে বেশি।

বান্দরবানে ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার ছাত্রদের মাঝে দস্তারে ফজিলত (পাগড়ি প্রদান) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটাই বলেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

৬ই মে (শনিবার) সকালে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে গাউসিয়া কমিটি,বাংলাদেশ,বান্দরবান পার্বত্য জেলার আয়োজনে দস্তারে ফজিলত (পাগড়ি প্রদান) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ,বান্দরবান পার্বত্য জেলা এর সিনিয়র সহ-সভাপতি আছহাব উদ্দিন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে,কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহ্বাজ মাওলানা আবু তালেব মঈনী এর সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী,জেলা পুলিশ সুপার,তারিকুল ইসলাম, পিপিএম,জেলা আওয়ামী লীগ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি, মোঃ আব্দুর রহিম চৌধুরী,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর,পৌরসভার মেয়র সৌরভ দাশ শেখর,পার্বত্য বান্দরবান  জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নারর্গিস সুলতানা,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অমল কান্তি দাশ,সাধারণ সম্পাদক, শামসুল ইসলাম,আলহাজ্ব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার,যুগ্ম মহাসচিব, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, কেন্দ্ৰীয় পর্ষদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায় করে ইসলামিক শিক্ষার প্রসারের জন্য সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন।পার্বত্য বান্দরবানে বীর বাহাদুরের সময়েই সবচেয়ে বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা পেয়েছে।এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়,জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতেও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা পেয়ে আসছে।

এসময়  কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে দস্তারে ফজিলত পাগড়ী প্রদান করেন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা হাফেজ ক্বারী আনিসুজ্জামান আল-কাদেরী (মাঃ জিঃ আঃআরবি প্রভাষক, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বীর বাহাদুর উশৈসিং তিন জন কৃতি শিক্ষার্থী মোঃ নাজিমুল হক,মোহাম্মদ ফরহান,মোঃ আবছার কামাল তিন জন শিক্ষার্থী  কে সার্টিফিকেট এবং প্রতি জন কে দশ হাজার টাকা করে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন।

এবং মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত পক্ষ হতে কাদেরিয়া তৈয়্যাবিয়া সুন্নিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা মাদ্রাসায় নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং ২ মেট্রিকটন চাল মাদ্রাসা ও এতিমখানা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করেন এবং আগামীতেও সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by