খুলনা

করোনায় মৃত্যু: ১৪ দিনেও স্ত্রী-সন্তান জানেন না মৃত্যুর খবর

  প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২১ , ৮:১৫:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ

শরণখোলার স্বর্ণ ব্যাবসায়ী বাদল কর্মকার (৪০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন গত ২৯ জুন। ওই দিন বরিশাল মহা শশানে তার সৎকার করা হয়েছে। এরপর ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তার স্ত্রী সীমা কর্মকার (২৭) জানেন না তার মৃত্যুর খবর। তিনি অপেক্ষায় আছেন স্বামী সুস্থ হলেই বাড়ি চলে আসবেন। আর একমাত্র সন্তান সূর্য্য (১১) অপেক্ষায় রয়েছে বাবা আসলেই তার কাছে বায়নার কথা বলার জন্য। তাদের আশা যে আর পুরন হওয়ার নয় সেই খবর জানাতে আসবেন বাদলের শুশুর বাড়ির লোকেরা। কিভাবে এ খবর জানাবেন আর তাদের সামলে নিবেন এজন্য প্রতিবেশীরাও রয়েছেন উৎকন্ঠায়।

সীমার ভাইয়েরা দুই-এক দিনের মধ্যে বরিশাল থেকে এসে জানাবেন বাদল চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এলাকাবাসীরা জানান, জুন মাসের ২য় সপ্তাহে বাদল কর্মকারের পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু সামান্য সর্দি, কাশি ও জরকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। এরমধ্যে বেশ কিছুদিন পার হলে বাদলের স্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। অসুস্থ বেশি দেখে তারা সবাই গত ২৪ জুন শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করান।

তবে রেপিড এন্টিজেন্ট নমুনা পরীক্ষায় বাদলের নেগেটিব এবং তার স্ত্রী সন্তানের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বাসায় বাদলের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। খবর পেয়ে তার শশুর বাড়ির লোকজন একদিন পরে এম্বুলেন্সে করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

সেখানে করোনা পরীক্ষা দেয়ার দুইদিন পরে পজেটিভ রিপোর্ট আসে। ততোক্ষনে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে থাকে। একপর্যায়ে ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তী করার একদিন পরে বাদলের মৃত্যু হয়। ওই দিনই তাকে সৎকার করা হয়। বাদলের শ্যালক উজ্জল কর্মকার জানান, তার বোন সীমা কর্মকার ও ভাগ্নে সুর্য্য কর্মকারের করোনা পজেটিব থাকার কারনে তাদেরকে বাদলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি।

১২ জুলাই সোমবার সকালে তাদের পুনরায় করোনা পরীক্ষার নমুনা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিব আসলে জানানো হবে বাদল কর্মকারের মৃত্যু খবর।

শরণখোলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন জানান, এন্টিজেন্ট রিপোর্ট প্রায় ৬০ ভাগ সঠিক পাওয়া যায়। যার কারনে বাদল কর্মকারের রিপোর্ট হয়তো সঠিক হয়নি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by