খুলনা

কাঠমিস্ত্রি দরিদ্র পিতা তার সন্তানকে বাচাঁতে চায়

  প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫:২৯:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহ সদরের বড় কামারকুন্ডু গ্রামের কাঠমিস্ত্রি হাসানুজ্জামানের দেড় বছর বয়সী শিশু মাহিম। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ভুগছে। এ পর্যন্ত তার যা কিছু ছিল সব দিয়ে ছেলের চিকিৎসা করেছেন। এখন তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আরো ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু এতো পাকা পাবে কোথায় দিনমজুর মাহিমের হতভাগা পিতা।

মাহিমের পিতা হাসানুজ্জামান জানান, দেড় বছর আগে স্বাভাবিক ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। জন্মের ৫ মাস পর থেকে শিশুটি অস্বাভাবিক ভাবে প্রসাব করতে থাকে। এরপর ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে দেখালে চিকিৎসক জানায় তার একটি কিডনীতে সমস্যা হয়েছে। তারপর থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে থাকে চিকিৎসা।

এর কিছুদিন পর থেকে শিশুটির মাথার এক পাশ ফোলা দেখেতে পায়। শিশু মাহিম রাতে ও দিনে প্রচুর কান্নাকাটি করতে থাকে। পরে তাকে ভালো চিকিৎসার জন্য যশোর শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আবু বক্কর সিদ্দীককে দেখানো হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানান শিশুটি কিডনী ও ব্রেন টিউমারে ভুগছে।

পরে তার পরামর্শে শিশু মাহিমকে নেওয়া হয় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দেড় মাস চিকিৎসার পরে ওপেনিয়ন নিউরো সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ তরিকুল ইসলাম শিশুটির উন্নত চিকিৎসা ও অপারেশনের জন্য ভারতের ভেলর সিএমসি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

কিন্তু কাঠমিস্ত্রী বাবা দীর্ঘ একবছর ধরে সন্তানের চিকিৎসায় নিজের গচ্ছিত যা ছিলো সবকিছু বিক্রি করেছে। এখন আর তার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব না। নিজে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে দিনে মজুরী পান ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। তারপর ভারতের নিয়ে অপারেশনের জন্য প্রয়োজন ৫ লক্ষ টাকা যা হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রী পিতার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সন্তানকে বাচাঁতে হতদরিদ্র পিতার সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by