রংপুর

কাহারোলে সরিষার বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ৭:৫৫:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. আব্দুল জলিল শাহ, কাহারোল (দিনাজপুর) :

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং দেশে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা আগ্রহ ভরে সরিষা চাষ করেছেন। এবার কাহারোল উপজেলায় সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলার দিগন্তজুড়ে মাঠে সরিষা ক্ষেত। মাঠে সরিষা ফুলের মনোরম দৃশ্য চোখ জুড়িয়ে যায়। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়েছে এবার। কৃষকরা আশা করছেন ফলনে লাভবান হবেন। এতে করে কৃষকের স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে স্থানীয় জাতের সরিষা চাষ করায় ফলন কম হতো এবং উৎপাদন সময়ও বেশি লাগতো, কৃষকরা লাভবান হতো না। বর্তমানে উচ্চফলনশীল জাত আসায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। কম জীবনকালের বারি-১৪ জাতের সরিষা ৮০-৮৫ দিনেই ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় প্রায় দেড় মেট্রিক টন। সরিষা চাষ করে ওই জমিতে নির্বিঘেœ বোরো আবাদ করে চাষিরা। সরিষা খেতে বোরো চাষে সারও কম লাগে এবং যে দিক চোখ যাচ্ছে হলুদের সমারোহ। যেন হলুদ রঙের গালিচা সাজিয়ে রেখেছে এক অপরুপ প্রকৃতি, মাঠে দুলছে সরিষা ফুল। দেখলেই মনটা জুড়িয়ে যায়। অনেকে সরিষা ফুলের প্রকৃতিতে সেলফি নিয়ে ব্যস্ত। ভালো ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে স্বস্তির অভিব্যক্তি। বাজারে সরিষার চাহিদা থাকায় চাষিদের আগ্রহ বেড়ে গেছে। কৃষিসমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় দুই ফসলি জমিতে চাষ হচ্ছে তিন ফসল। দেশী জাতের পরিবর্তে আবাদ করেছেন উচ্চফলনশীল বারি-১৪ জাতের সরিষা। উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহনবীশ জানান, এবার সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ১৩২০ হেক্টর । গত বছরের অর্জিত এক হাজার পাঁচশত পঁচাত্তর হেক্টর। ধান চাষের পর জমি পতিত থাকে। এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্ধুদ্ধ করতে দেওয়া হয়েছে পরামর্শ ও সরকারিভাবে প্রণোদণায় বীজ ও সার। রামচন্দ্রপুর ইউপির সরঞ্জা গ্রামের কৃষক মো. হযরত আলী বলেন, আগে একটি জমিতে শুধু ধান আবাদ করতাম। ধান আবাদ শেষে জমি পতিত থাকত। ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় ধান আবাদের পাশাপাশি মাঝখানের সময়টা সরিষার চাষ করছেন তিনি।

Powered by