গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মামলাবাজ শাজাহান সিকদার (৬০) এর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। সে উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড নারিকেল বাড়ী গ্রামের মৃত করিম সিকদারের ছেলে। সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত শাজাহান, তার ভাই এনামুল সিকদার, ছেলে আরিফ সিকদার ও ভাতিজা সুমন সিকদার সহ লোকজন নিয়ে এলাকায় গড়ে তুলেছে সংঘবদ্ধ লাঠিয়াল বাহিনী।
এই বাহিনীর লাঠির জোরে অন্যের জায়গা জমি ভূয়া দলিলের মাধ্যমে জবর দখল, কৌশলে টাকা পয়সা নিয়ে আত্মসাৎ, প্রতিবাদ করায় হামলা মারপিট, একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা সহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা সম্ভব নয় ত্রাস শাজাহানের দ্বারা। এমনটাই জানিয়েছেন- ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন সরদার, ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য অনিল চন্দ্র বাড়ৈ, শিহাব খন্দকার, হরসিত রায়, আনন্দ গাইন, ইদ্রিস খন্দকার, প্রকাশ রায়, মহানন্দ গাইন সহ অসংখ্য এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী বিধবা শুমতি রায় (৬০) বলেন- আমার স্বামী বকুল রায় কিছুদিন পূর্বে মারা গেছেন, শাজাহান অবৈধভাবে তার জমি দাবি করে লোকজন নিয়ে জোর পূর্বক আমাদের ৮ কাঠা জমির ইরি ধান কেটে নিয়েছে। সাবেক ইউপি সদস্য বিপুল রায় জানান- ২৫ নং নারিকেলবাড়ী মৌজার বিআরএস ৩৫ নং খতিয়ানের ২৮৪৭ নং দাগে সাড়ে ১৯ শতাংশ, ২৬৭৩ খতিয়ানে ২৮৫৬ দাগে ৩০ শতাংশ এবং আরএস ১০ খতিয়ানে ১৬১৯ দাগে ৩০ শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে শতাধিক বছর ধরে আমরা ভোগ দখল করে আসছি, এখন শাজাহান উক্ত জমির জাল স্ট্যাম্প তৈরি করে লাঠিয়াল বাহিনীর প্রভাব খাটিয়ে দখল করতে চায়, এ মৌসুমে জমির পাকা ইরি ধান ও কেটে নিয়ে যায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী শাজাহান সিকদার, বাঁধা দিলে স্ত্রী সন্তান ভাই ভাতিজা সহ তার বাহিনী দিয়ে হামলা মারপিট করে উল্টো মিথ্যা মামলায় হয়রানী করে, আমরা এই মামলাবাজ জবর দখলকারী সন্ত্রাসী শাজাহান সিকদারের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই, আমরা এ ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই, অন্যথায় আমাদের এ দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। এব্যাপারে অভিযুক্ত শাজাহান সিকদার বলেন- আমার বিরেুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শহিদুল ইসলাম জানান- ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম, পরে বাদী পক্ষ অভিযোগ দেয়, জমি নিয়ে দু পক্ষের বিবাদ ধান কাটা হয়ে গেছে এখন কোন ঝামেলা নেই। এ ঘটনায় শুমতি রায় বাদী হয়ে শাজাহান সিকদার সহ ৪ জনকে বিবাদী করে ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।