চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

  প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২১ , ২:৩৫:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ ইব্রাহিম শেখ, খাগড়াছড়ি:

দুই দিনের টানা বর্ষণে খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।। বন্যায় খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড়ধস। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বন্যাকবলিত পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্যবন্যা দুর্গতদের জন্য খাগড়াছড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত প্রায় ১২টা থেকে টানা বর্ষণে হঠাৎ করে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অফিস আদালতে ঢুকে পড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় ব্যবস্থা ও খাবারের জন্য কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
বুধবার (২৫আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহরের শান্তিনগর, শব্দমিয়া পাড়া, খবং পড়িয়া, গঞ্জপাড়া, মুসলিম পাড়া, মিলনপুর, খাগড়াপুরসহ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। টানা বর্ষণে পানি বেড়ে গিয়ে জেলা সদরের প্রায় ৫শ অধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম-ঢাকা আঞ্চলিক ও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো।

জেলা সদের দক্ষিণ গঞ্জপাড়ার বাসিন্দা মোছাঃ কুহিনূর বেগম বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমার পুরো ঘরে পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে আসবাবপত্র, খাদ্যসামগ্রী।
উত্তর গঞ্জপাড়ার বাসিন্দা মোঃ বাদশাহ বলেন, পানিতে আমার ঘর-বাড়ি সব পানিতে বন্দি। কোনরকম প্রাণে বাঁচলাম। ঘরে থাকা আসবাবপত্র, খাদ্যসামগ্রী-চাল, ডাল সবই এখনো পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে বন্যায় প্লাবিত বিষয়ে গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা মুঠোফোনে জানান, বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য যা যা করা দরকার তা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল দেবনাথ মুঠোফোনে জানান, মাননীয় মেয়র মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি বিষয়ে তাৎক্ষণিক আমরা পৌরসভায় জরুরি বৈঠকও করে ‘ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ও ব্যবস্থা করে রেখেছি। সাথে ৮হাজার পরিবারের জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থাও করেছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by