ময়মনসিংহ

বকশীগঞ্জ-মেরুরচর সড়কের বেহাল অবস্থা

  প্রতিনিধি ২৮ নভেম্বর ২০২০ , ৫:৩৮:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মতিন রহমান,বকশীগঞ্জ(জামালপুর) প্রতিনিধি: ২০১৯ ও ২০২০ সালের বন্যার কবলে পড়ে বকশীগঞ্জ- মেরুরচর সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খানা খন্দে পাল্টে গেছে বকশীগঞ্জ- মেরুরচর সড়ক। ফলে মেরুরচর ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে।

মেরুরচর ইউনিয়নের সাথে বকশীগঞ্জ উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বকশীগঞ্জ- মেরুররচর সড়ক। ২০১৯ ও ২০২০ সালের বন্যায় ৩টি ব্রিজসহ একমাত্র পাকা সড়কটি ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। ২০১৯ সালে সড়কটি বানের পানিতে ডুবে খানা খন্দের সৃষ্টি হলেও ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে এই সড়ক সংস্কার করা হয়নি। এই অবস্থায় ২০২০ সালের বন্যায় সড়কটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু সড়ক না ৩টি ব্রিজও ক্ষতি গ্রস্ত হয়। ফলে এই সড়কে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

বকশীগঞ্জ- মেরুরচর সড়কটি ইউনিয়নের জন্য খুবই জনবহুল সড়ক। এই সড়ককে কেন্দ্র করে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে য়াতায়াতে এই সড়ক ব্যবহার করে থাকে। পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রসহ কয়েকটি পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র রযেছে এই সড়ককে কেন্দ্র করেই। পাবিলিক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশাসনের লোকজন য়াতায়াত করে থাকে এই সড়কেই। কাজেই সড়কটি খুবই জনগুরত্বপূর্ণ।

মেরুরচর- বকশীগঞ্জ সড়ককে কেন্দ্র করে প্রায় শতাধিক পরিবহন শ্রমিক পরিবার বেকার হয়ে পড়েছে। কারণ সড়কের অবস্থা ভালো না থাকায় পরিবহন শ্রমিকরা ভেন গাড়ী, রিক্সা, অটো রিক্সা প্রভৃতি পরিবহনের শ্রমিকরা বেকার জীবর যাপন করছে।

সাবেক মেম্বার নুর ইসলাম বলেন, মেরুরচর ইউনিয়নবাসীর প্রাণের দাবি এই সড়ক সংস্কারের। সড়কটি সংস্কার বা পুন: নির্মাণ হলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হবে। কারণ প্রশাসনের লোকজন সহজেই মেরুরচর ইউনিয়নে চলাচল করতে পারবে। জনগণকে আইনি সেবা প্রদান সহজ হবে।

ফকির পাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহ বলেন, সড়ককের বেহাল অবস্থার কারণে কৃষকরা তাদেও কৃষিপণ্য সহজে বকশীগঞ্জ উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন শহরে নিতে পারেনা। ফলে কৃকরা তাদের কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।ব্যবসায়ী ফুলু মিয়া বলেন, এই সড়ককে কেন্দ্র করে ৮/১০টি হাট বাজার গড়ে উঠেছে। সড়কের অবস্থা বেহাল থাকার কারণে হাট বাজার গুলোতে লোক সমাগম কম হয়। ফলে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। সড়কটি চালু হলে প্রতিটি হাটবাজারে লোক সমাগম ঘটবে। তখন বেচা কেনাও বেশি হবে। ব্যবসায়ীরাও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুররচর ইউনিয়নের মেম্বার সামিউল হক নেদা জানান, সড়কটি সং¯কার বা পুন: নির্মাণ হলে মেরুররচর ইউনিয়নের ও প্রতিবেশি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবে। শ্রমিক পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by