রাজধানী

গণপরিবহন বন্ধ, খোলা অফিস : ভোগান্তিতে অফিসগামীরা

  প্রতিনিধি ২৮ জুন ২০২১ , ৫:১০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আজ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তিন দিনের লকডাউন। এতে গণপরিবহন বন্ধ রেখে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত চালু রাখায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। যাত্রী সংখ্যার তুলনায় সড়কে যানবাহন অপ্রতুল থাকায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে অফিসগামীদের। অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়ায়ও পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত যানবাহন। আজ সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

কোনো যানবাহন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে পণ্যবাহী যানবাহনে করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন অনেকেই। আর যাদের সেই ভাগ্যও হয়নি, তারা যতটা সম্ভব পায়ে হেটে রওনা হয়েছেন অফিস অভিমুখে।

এর আগে, গতকাল রোববার লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা শুরু হবে। তিন দিনের বিধিনিষেধে যে পাঁচ শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে—

(১) সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

(২) সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

(৩) খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (বসে খাওয়া যাবে না) করতে পারবে।

(৪) সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানসমূহে শুধু প্রয়োজনীয়সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।

(৫) জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সুপারিশের আলোকে সারা দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এর আগে থেকে বিধিনিষেধ জারি ছিল, যেটির মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by