ঢাকা

গাজীপুরের ভবানীপুরে বাঁশ শিল্পে জীবিকা নির্বাহ

  প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২১ , ৫:০৯:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সাইফুল ইসলাম শুভ, গাজীপুর সদর প্রতিনিধি:

নলি বাঁশের চাটাই বেড়া তৈরি করে জীবন-জীবিকা চালাচ্ছে গাজীপুর সদর উপজেলার প্রায় অর্ধশত পরিবার।

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে যারা একসময় মানবেতর জীবনযাপন করত আজ তারা এ ব্যবসায় জড়িত হয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে বসবাস করছে। নিম্ন আয়ের এ সব খেঁটে খাওয়া মানুষ এখন স্ত্রী, বাবা-মা ও সন্তানদেরকে নিয়ে সুখের স্বপ্ন বুনছেন।

ভবানীপুর কিন্ডারগার্টেন স্কুল গেটের পশ্চিম পাশে উত্তর দক্ষিণে মাঝখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আপন মনে একাগ্রচিত্তে নলি বাঁশের চাটাই বেড়া তৈরিতে ব্যস্ত প্রায় ৫-৭ জন শ্রমিক।

চাটাই বেড়ার ব্যবসায়ী মোঃ নুরুল আলামিন ভোরের দর্পণ কে তিনি জানান, এই কাজের সঙ্গে সে প্রায় ৬ বছর ধরে জড়িত। একসময় তার সংসার চালাতে ভীষণ কষ্ট হতো। বৃদ্ধ বাবা-মা স্ত্রী আর সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অবশেষে এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ি। বর্তমানে আমার সঙ্গে ৫-৭ শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। এতে এই সব শ্রমিকদের ও কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

এতো নলি বাঁশ কোথা থেকে সংগ্রহ করেন এমন প্রশ্নের জবাবে এ ব্যবসায়ী ভোরের দর্পণ কে জানান, আমরা বিভিন্ন গ্রাম বাজার থেকে ট্রাকে করে প্রতিমাসে নলি বাঁশ কিনে নিয়ে আসি। সেই বাঁশ দিয়েই তৈরি হচ্ছে চাটাইয়ের বেড়া। আর এই বেড়াগুলো বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক চাহিদা থাকায় স্থানীয় ব্যাপারিরা পাইকারি দরে কিনে নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন।

বিশেষ করে ভবানীপুর, ইজ্জতপুর, বাঘের বাজার, আমাদের এই অঞ্চলের চাটাই বেড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা থেকে ব্যাপারিরা এসে আমাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এক হাত উন্নতমানের বেড়া তৈরি করতে খরচ হয় ৫০-৫৫ টাকা। আর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।

এ কাজের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক মোঃ বছির উদ্দিন ভোরের দর্পণ কে জানান, নিজের পরিবারের কাজ সেরে অবসর সময় পেলেই একাজে যোগ দেন। এ কাজ করে বাড়তি মুনাফা অর্জনের ফলে সংসারের অর্থনৈতিক সংকট দূর হচ্ছে।

চাটাইয়ের বেড়া ক্রেতা ভ্যানচালক মোঃ রাকিবুল ভোরের দর্পণ কে জানান, একটু দাম কম হওয়ায় ঘরের চারপাশে টিনের পরিবর্তে নলি বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া ব্যবহার করা হচ্ছে।

অপর ক্রেতা সমশের আলী ভোরের দর্পণ কে বলেন, গরমের দিন ঘরের রুম কিছুটা ঠান্ডা রাখতে সহযোগিতা করে বাঁশের বেড়া। তাই আমার ঘরে সিলিং দেওয়ার কাজে এই বেড়া ব্যবহার করছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by