ঢাকা

গোপালগঞ্জে সরকারি জমি দখল করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

  প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৬:০৫:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জের জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম.এইচ. খান মঞ্জ ও তার সহযোগী মাসুদ পিল্টনের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার অভিযোগে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগাকারীরা জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার আগে ভূমি অফিস, জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ পৌরসভার বঙ্গবন্ধু সড়কের পামে ৪৮৪৯ নং দাগের ০১ নং খাস খতিয়ানের সরকারি জায়গা দখল করে সরকারি জায়গায় বিল্ডিং তৈরি করে গড়ে তোলা হয়েছে মাসুদ এন্টারপ্রাইজ। যে বিল্ডিংয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর প্লানের কোনো অনুমতি নেননি। সরকারি জায়গায় বিল্ডিং তৈরি হওয়ায় বিল্ডিংটি ঝুঁকিতে রয়েছে।

যেকোন সময়ে ধসে পড়ে জানমালে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। পৌরসভার পক্ষ থেকে বিল্ডিংটি ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ দেওয়ার পরেও অপসারণ করছে না। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, জেলা প্রশাসক বরাবর একাধিকবার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হলে ১১/০৮/২১ ইং তারিখে জেলা ভূমি অফিস থেকে জায়গা মাপ দিয়ে লাল নিশানা টানিয়ে দিয়ে আসলেও অদৃশ্য শক্তির বলে পুনরায় প্রভাবশালী মাসুদ পিল্টন দখলে যায়।

স্থানীয় লিকু শেখ ও হাবিব মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, “প্রভাবশালী মাসুদ পিল্টন এখন আওয়ালীলীগের নেতাদের সাথে চলাফেরা করেন। হয়তো তাদের সাপোর্টে বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমিতে এভাবে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করার সাহস পায়। এদিকে অভিযুক্ত বিএনপির সাবেক সভাপতি এম.এইচ. খান মঞ্জু ও তার সহযোগী মাসুদ পিল্টনের সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্ট করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এলাকাবাসীর দাবি, সরকারি জায়গা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ করে এলাকার জনসাধারণ ও শিশুদের জন্য বিনোদনের স্থান তৈরি করা হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের লেক ও মরা মধুমতির সামনের এই সরকারি জায়গাটিতে একটি ওয়াইফাই জোন ও পার্ক করলে লেকের পাশে লেকটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং তারা অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দূর্ঘটনা ঘটার চিন্তা থেকে মুক্তি পাবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by