দেশজুড়ে

গোপালগঞ্জে সুমনা হত্যার বিচারের দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ১ মে ২০২০ , ৬:৩৪:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ শহরের পূর্ব মিয়াপাড়ায় শ্বশুড়বাড়িতে শাহিদা আলম (সুমনা) আত্মহত্যা করেনি। তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১ লা মে) সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সুমনা'র মা (প্রতিবন্ধী) রাজিয়া আলম।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বড় ছেলের বৌ তাসপিয়া ইসলাম। রাজিয়া আলমের অভিযোগ, ২০১৬ সালে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব মিয়াপাড়ার ইদ্রিস সরদারের ছেলে করিম সরদার (সজীব) এর সঙ্গে তার মেয়ে সুমনা’র বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে সুমনা’র ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো স্বামী, সৎমা সহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। তারা গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে তাকে মোবাইল ফোনে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর দেয়। তিনি দ্রুত পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখেন গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের এস আই মুরাদ হোসেন, 

এ এস আই মনির ও সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা গেটে তালা দিয়ে বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে। এরপর আমাদেরকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি, মেয়ের মুখটা পর্যন্ত দেখতে দেয়নি আমাদের। পুলিশ কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন আমাদের বাড়ির মধ্যে ঢুকতে না দিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এটা অপমৃত্যু। মামলা ও ময়নাতদন্তের ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নাই, লাশ নিয়ে মাটি দিয়ে দেন এটাই ভালো হবে। আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিতে আপত্তি জানালে এস আই মুরাদ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার জন্য আমাদেরকে হুমকিও দিয়েছে তারা। তাছাড়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা ময়না তদন্তের আগেই কি করে নিশ্চিত হলো যে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমাদের বিশ্বাস এস আই মুরাদ হোসেন ও সিপাহি কবির হত্যাকারীদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে হত্যাকারীদেরকে আটক না করে কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। পরে অনেক দৌড়াদৌড়ি করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো.আসলাম খানের

হস্তক্ষেপে লাশের ময়না-তদন্ত সম্পন্ন হয়। আমাদের দাবি তারা আমার মেয়েকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে রশি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এছাড়া, অভিযুক্তরাও পুলিশের ছত্রছায়ায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের এহেন আচরণে আমরা ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশংকা করছি। সংবাদ-সম্মেলনে উপস্থিত সুমনা'র মা রাজিয়া আলম, ভাই রাজিব মুন্সী, সজিব মুন্সী, খালা লিপি বেগমসহ পরিবারের লোকজন সুমনা’র এ মৃত্যুকে হত্যাকান্ড উল্লেখ করে সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ন্যায় বিচার পেতে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by