খুলনা

ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙে বাঁধ, ভাঙে উপকূলবাসীর কপাল

  প্রতিনিধি ২৮ মে ২০২১ , ১২:৫২:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় আসে আর বাঁধ ভাঙে। সেইসেঙ্গে ভাঙে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কপাল। ১৯৬০ সালের নির্মিত বাঁধের উচ্চতার তুলনায় নদীর তলদেশের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বছর জোয়ারের পানি উপচে প্লাবনের শিকার হতে হয়। প্রতিবছর বাঁধ মজবুত করার দাবি জানালেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের টনক নড়ে না। 

আর অবৈধভাবে বাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে ঘের করায় বাঁধ ভাঙার অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। অবৈধ পাইপ বসানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বরাবরের মতো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বুধবার (২৮ মে) দুপুরের আগেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ঢেউয়ের সঙ্গে প্রচণ্ড জোয়ার আঘাত হানে বেড়িবাঁধে। স্থানীয়রা ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাঁধ রক্ষা করতে পারেনি। বাতাসের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে পানির তোড়ে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ২০টির মতো পয়েন্টে ১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।

মৎস্য বিভাগ বলছে, সাড়ে চার হাজার চিংড়ি ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। ডুবে গেছে কাঁকড়া হ্যাচারি। হাঁটু পানিতে হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন উপকূলবাসী। তাদের অভিযোগ, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের আবেদন, ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ চান তারা।

বারবার বেড়িবাঁধ ভেঙে নিঃস্ব হয়ে গেছে এই উপকূলীয় জনপদের অধিকাংশ মানুষ। আর দায়সারাভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, টেকসই বেড়িবাঁধের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার সাতশ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে একশ কিলোমিটারই ঝুঁকিপূর্ণ। গত বছর আম্পানে ৭০ কিলোমিটার ভেঙেছিল আর এখন ইয়াসে ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by