প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২০ , ৮:৩৮:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিশেষত চট্টগ্রামের রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্প বিকাশে এ গণমাধ্যমটি যুগের চাহিদা পূরণ করেছে। আমি মনে করি দৈনিক আজাদী কর্তৃপক্ষ তাদের অতিতের কথা স্মরণ রেখে সংবাদ পত্র জগতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাবে। যারা আজাদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং আজাদীর সাথে সংশ্লিষ্টরাও মালিক পক্ষের সাথে সু-সম্পর্ক বজিয়ে রেখে সাংবাদিকতা ও জনদায়বদ্ধতার ক্ষেত্রটিকে একটি শৃজনশীল ক্ষেত্র হিসেবে সুন্দর ও পারস্পরিক সহাবস্থানের সেতুবন্ধন রচনা করবেন। তিনি আজ অপরাহ্নে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম.এ মালেক এর বাসভবনে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথাগুলো বলেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পাঁচটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় পনের দিন ধরে পাঠকরা এসব পত্রিকা পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রমতে জানা যায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) বেতন বোনাসের দাবিতে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেকের বাসা ঘেরাও কর্মসূচি পালনের পর থেকে এই সংকটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সাংবাদিকসহ পত্রিকায় কর্মরতরা গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছেন। শুধু তা নয়, পাঠকরাও তাদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ প্রেস শ্রমিকরা চাকরি হারানোর শঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই পত্রিকার বিক্রি আগের তুলনায় অনেকাংশে কম, তার ওপর আকস্মিক পত্রিকার প্রকাশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক আজাদী চট্টগ্রামের একটি মাসদর্পন। না বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শত,শত হকারের উপার্জনের পথও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসে সংকটময় এ পরিস্থিতি উত্তরনের অনুরোধ জানান চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামবাসী চাতকের মত তাকিয়ে আছে কখন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রিয় পত্রিকাগুলো আবারও পড়তে পারবেন।