রংপুর

চিলমামীতে অষ্টমী স্নান সম্পন্ন

  প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২২ , ৯:০৩:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. ফজলুল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে শুক্রবার দুপুর থেকে ঢল নামতে শুরু করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। ধীরে ধীরে ভরপুর হয়ে উঠে নদী তীর এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ। শুক্রবার রাত থেকে অষ্টমী স্নান শুরু হয়। লাখো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পদভারে মুখোরিত হয়ে ওঠে ব্রহ্মপুত্র তীর। সূত্র মতে শুক্রবার রাত ৯.১১ টা থেকে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট অষ্টমী প্রহর থাকলেও স্নানের উত্তম সময় ধরা হয়েছে শনিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট ৩ সেকেন্ড থেকে ১০টা ৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ড পর্যন্ত। প্রায় ৩লাখ পূণ্যার্থীর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছিল চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা।

গত কয়েকদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থী ভিড় জমান উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজারভিটা, পুটিমারী নদীর তীর, চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। সড়ক পথে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অটো ও মোটরগাড়ি করে। নদী পথে ট্রলার ও নৌকাযোগে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে পূণ্যার্থীরা সমবেত হন ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। উৎসব কমিটির নেতারা বলেন, করোনার কারণে গত দু’বছরে উৎসব না হওয়ায় এবারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক পূণ্যার্থী যোগ দিয়েছেন স্নান উৎসবে। স্নান ও মেলা উপলক্ষে রাজারভিটা থেকে ফকিরেরহাট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বালুচরে বিভিন্ন স্থানে বসেছে মেলা, সার্কাস ও গানের আসর। বাঁশির সুর, ঢোলের শব্দ ও নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখর ছিল চরাঞ্চল। স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দুইদিনব্যাপী লোকজ মেলা।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, পূণ্যার্থীদের কল্যাণে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে নানা পদপে নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশি পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপর দিকে স্নান উৎসব উপলক্ষে উপজেলা চেয়াম্যান মো. শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ স্নান উৎসব কেন্দ্র পরিদর্শন ও নজরদারী করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by