প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২০ , ৭:৪৯:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া ও পরিবেশের বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখতে জার্মানির গবেষক প্রফেসর ড. ওলাফ গুনথার এসেছিলেন। তিনি উত্তরাঞ্চলে আসার আগে দেশের সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জ ও সিলেট জেলাতেও একই ধরনের তথ্য সংগ্রহ ও কাজ করেছেন। তিনি ৬ মার্চ বাংলাদেশ থেকে জার্মানি চলে গেছেন।এ সময় রিসার্চ ইনিশেয়েটিভস বাংলাদেশের কর্মকর্তা মতিউর রহমান, মুন্না দাস ও সাংবাদিক মতিয়ার রহমান সাথে ছিলেন।
জানা গেছে, তিনি চেক রিপাবলিক এর অলোমাস পলাকি ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসর। সেখানে তিনি এশিয়া স্টাডিজ নিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাদান করেন। তিনি বাংলাদেশে গবেষণার কাজ করছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যার কেস স্টাডি করছেন এবং একই সাথে তার ছেলে ক্লডিয়াস ছবি আঁকছেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ওপর। তার লেখা কেস এবং ঘটনাগুলোর পাশাপাশি আঁকা ছবিগুলো জার্মানিতে জাদুঘরে প্রদর্শিত হবে। এই ছবি এবং কেস বা ঘটনাগুলো আগামী এক বছর সেখানে প্রদর্শিত হবে। যাতে করে জার্মানির মানুষ তথা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মানুষ বুঝতে পারে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে আবহাওয়া ও পরিবেশের বিরুপ প্রতিক্রিয়া চলছে তা কিভাবে জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলছে।
এই উদ্দেশ্যে তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আসেন এবং দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুরের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কথা শোনেন। বিশেষ করে তিনি আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি ২৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা এলাকায় আসেন এবং উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্টপুর আদিবাসীপাড়ায় বনের মধ্যে বসবাসরত মানুষের জীবনযাত্রা কেমন তা ঘুরে দেখেন ও জয়পুর ইউনিয়নের কালীরহাটে সুবিশাল বাঁশবাগান পরিদর্শন করেন এবং এসবের ছবি আঁকেন।