জাতীয় পার্টি আর কারও কৃতদাস হয়ে থাকবে না: জিএম কাদের

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, হাওয়া ভবনের দুর্নীতি থেকে দেশকে বাঁচাতে ২০০৮ সালে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ কথার বরখেলাফ করেছে। প্রথমে তারা জাতীয় পার্টিকে অঙ্গ সংগঠন মনে করতো, পরে চাকর ভাবতো, আর এখন মনে করে কৃতদাস। তারা সবই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমরা কারো নিয়ন্ত্রণ হতে চাই না। বন্ধুত্বের কথা বললে চিন্তা করবো, কিন্তু কৃতদাস হবো না। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে।

আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুরের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় জিএম কাদের বলেন, আমি প্রথম যখন বলেছিলাম বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হচ্ছে, সরকার দেউলিয়া হচ্ছে- তখন শুনে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। এখন সরকারের উপদেষ্টা বলছে টাকার অভাবে গ্যাস কিনতে পারবে না। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে রক্ত পানি করে টাকা পাঠায়, আর আমরা আলোকসজ্জা করি, মূর্তি বানাই। যেখানেই যাই শুধু দেখি ফূর্তি আর ফূর্তি। দেখে মনে হয় সরকার ১২ মাসে ১০০ পার্বণ পালন করছে। অথচ দেশের মানুষ না খেয়ে জীবনযাপন করছে। ৭০-৮০ ভাগ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারদলের নেতারা একেকজন আঙ্গুল ফুলে গলাগাছ। তাদের সম্পদের হিসাব নাই। টাকা রাখার জায়গা নাই, বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। পূর্বপাকিস্তান আমাদের সাথে বৈষম্য করেছিল, আমরা স্বাধীন হলেও বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি। স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষের শক্তি বলে দেশের মানুষকে বিভাজনে রাখা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্মেলন উদ্বোধন করবেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু।

প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তফা আল মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান শেঠ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এটিইউ তাজ রহমান, ফকরুল ইমাম, আহসান আদেলুর রহমান, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম তালুকদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোখলেছুর রহমান বস্তু প্রমুখ।

জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাকির হোসেন খান সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

পরে মোস্তফা আল মাহমুদকে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ও কাজী খোকনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।