বরিশাল

ঝালকাঠি শহরের ময়লায় দূষিত হচ্ছে প্রধান ২ নদী

  প্রতিনিধি ১ জুন ২০২১ , ৭:৫৭:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠি পৌর শহরের ময়লা আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে সুগন্ধা ও বাসন্ডা নদী। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় খোদ পৌরসভায়ও ময়লা ফেলছে নদীতে। এছাড়া পৌর শহরের ড্রেনের সংযোগ নদী খালের সাথে থাকায় বাসাবাড়ির মলমূত্র মিশে যাচ্ছে নদীতে।

একই সাথে বানিজ্যিক কাজে ঝালকাঠিতে আসা অসংখ্য নৌযান থেকেও মলমূত্র মিশে যাচ্ছে সুগন্ধা ও বাসন্ডা নদীতে। ১৮৮৫ সালের প্রাচীন পৌরসভা ঝালকাঠি।

ঝালকাঠি জেলায় মোট ৭ লাখ ৪১ হাজার মানুষের বসবাস। আর সর্বশেষ আদম শুমারী অনুযায়ি পৌর শহরের লোক সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৩৪ জন। কিন্তু এখনও এই পৌরসভায় নেই ময়লা- আবর্জনা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন। ফলে খোদ পৌরসভায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে নদীতে। জেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী কশাইখানা সংলগ্ন চরটি এখন পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন। শহরের অপর প্রান্তে বাসন্ডা নদীতে অসংখ্য ড্রেনের সংযোগ। প্রতিদিন এখান থেকে দূষিত হচ্ছে ঝালকাঠির এই প্রধান দুই নদী।

অপরদিকে, প্রাচীন বানিজ্যিক বন্দর ঝালকাঠিতে নৌযোনে অসংখ্য পণ্য যাতায়াত করে। এসব নৌযানের মলম‚ত্রও এই নদীর পানিতেই মিশছে। এমনকি অনেক বাসাবাড়ির টয়লেটের সংযোগও এই নদীর সাথে রয়েছে। জেলা শহরের বাজার ঘাট, পৌরবাসীর দৈনন্দিন জীবনের বর্জ্য সবই নদীতে মিশছে। কিন্তু এই নদীর পানিই গোসল, রান্না, কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় এই পানি পান করতেও দেখা যাচ্ছে অনেককেই।

ফলে ঝালকাঠিতে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এনিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই পৌরবাসীর, তারা অবিলম্বে ঝালকাঠির প্রধান দুটি নদী দূষণমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। ঝালকাঠি পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য শিঘ্র্রই ডাম্পিং স্টেশন চালু করা হচ্ছে।

ঝালকাঠি পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো: লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ডাম্পিং স্টেশন চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জমি ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেখানে ডাম্পিং স্টেশন চালু করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by