রংপুর

ডিমলায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে

  প্রতিনিধি ১৮ জানুয়ারি ২০২২ , ৮:৫১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. মশিয়ার রহমান, ডিমলা (নীলফামারী) : সরিষা চাষ করে বাড়তি আয়ের স্বপ্নে বিভোর নীলফামারীর ডিমলাবাসী। উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠে দুচোখ যতদূর যায় দেখা যায় হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিকে ভরে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ডিমলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনী বাস্তবায়ন এবং রবি মৌসুমে প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১১০০ কৃষকের মাঝে মাঝে সরিষা বীজসহ সার বিতরণ করা হয়। সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় বিস্তীর্ণ মাঠ ঢেকে আছে সরিষা ফুলের হলদে চাদরে। উপজেলার মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের স্থানীয় কৃষক মাহমাদুল হক জানান, তিন বিঘা জমিতে সরিষা বুনেছেন সরিষার গাছ ও ফুল ভালো হয়েছে সঠিক পরিচর্যা করলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে এবং লাভের মুখ দেখা যাবে।

কৃষক আমিনুর জানান, আমি বিনা সরিষা-৯ চাষ করেছি। ফুল ও ফল ভালো হয়েছে সরিষা চাষে তেমন কোন খরচ হয়না। দামও ভালো পাওয়া যায়। কৃষক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, আমি কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় একবিঘা জমিতে বারি সরিষা -১৪ লাগাইছি। জমিতে হালচাষ, সার, বীজ এবং হালকা সেচ ছাড়া আর কোন খরচ নেই। অন্যান্য আবাদের চেয়ে খরচ কম। এছাড়াও সরিষা আবাদ করার পর অর্থকরি ফসল পাট অথবা বোরোধান চাষ করা যায়। অনেকে মনে করেন সরিষা থেকে আমরা ভালোমানের তেল সংগ্রহ ও সরিষা গাছ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করতে পারব সেই সাথে সরিষা তুলে জমিতে বোরো ধান, পাট জাতীয় ফসল বপন করা যাবে। আমার সরিষা ক্ষেত দেখে এ এলাকার অন্যান্য কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট সরিষা বিক্রি করে সংসার চালাতে কোন অসুবিধা হবে না।

এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, তেল জাতীয় ফসলের আবাদ ও উৎপাদান বৃদ্ধির জন্য দশটি ইউনিয়নে রবি মৌসুমে প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে সরিষা বীজ,সার দিয়ে উদ্ধুদ্ধকরণ ও মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগন কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করছে। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৬৫ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও এবছর তা বৃদ্ধি পেয়ে ৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বারি সরিষা ১৪ ও ১৭ লাগানো হয়েছে । কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কৃষিবিদ সহিদুল ইসলাম জানান আবহাওয়া অনুকুল থাকায় সরিষা চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার নাজমুল হক বলেন, ডিমলা উপজেলা কৃষি অফিস হইতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করা যায় বাড়তি আয়ে কৃষককেরা খুশি থাকবেন।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by