আইন-আদালত

ঢাবি ছাত্রী হত্যা : স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে

  প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৫:৫৫:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ইলমা চৌধুরী ও তার স্বামী ইফতেখার আবেদীন। ছবি : সংগৃহীত

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী ইলমা চৌধুরী হত্যা মামলায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাউদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ইফতেখার আবেদীন এজাহারনামী এক নম্বর আসামি। এজাহারনামীয় সহযোগী অপর দুইজন আসামি পলাতক রয়েছেন। মামলার ভিকটিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। বিয়ের পর আসামিরা ভিকটিমকে পড়াশোনা করতে নিষেধ করেন। ভিকটিম এ কথা না মানায় তার চুল কেটে দেয়। ভিকটিমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান। দেখলেই বোঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তাকে কতটুকু গুরুতর আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে বলেন, ইফতেখার আবেদীন মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষে কানাডায় দেড় বছর চাকরি করছেন। পারিবারিকভাবে ইলমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে হৃদ্যতা, ভালোবাসা ছিল ভালো। কানাডায় নিয়ে যাবেন এজন্য স্ত্রীকে প্রস্তুতিও নিতে বলেন। কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে তিনি স্ত্রীকে কানাডা নিয়ে যেতে চাইতেন না। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ইফতেখার জড়িত না। জড়িত থাকলে তো স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন না বা তার পরিবারকে অসুস্থতার খবর দিতেন না। বরং তিনি পালিয়ে যেতেন। ভিকটিম ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার ও কর্মজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। সব সময় সে মানসিকভাবে ভেঙে থাকতো। তাই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাকে হত্যা করা হয়নি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান ইলমা। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তবে ইলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, শ্বশুড় অবসর প্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আমিন ও শ্বাশুড়ি শিরিন আমিনকে আসামি করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by