চট্টগ্রাম

তিন পার্বত্য জেলার নিরাপত্তায় থাকবে এপিবিএন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২২ , ৭:৩৬:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার জনগণের নিরাপত্তায় রাঙ্গামাটিতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) হেডকোয়ার্টার এবং তিন পার্বত্য জেলায় এপিবিএন গঠন করা হয়েছে।

আরও বলেন, শান্তিচুক্তি অনুযায়ী সেনাবাহিনী যেসব ক্যাম্প ছেড়ে এসেছে সেই জায়গাগুলোতে এপিবিএন মোতায়েন করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইন্সে ১৮ এপিবিএন রাঙ্গামাটি, ১৯ এপিবিএন বান্দরবান এবং ২০ এপিবিএন খাগড়াছড়ির সদর দপ্তর এবং ডিআইজি, এপিবিএনের কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত নারী আসন-৯’র সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীন, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বোমাং সার্কেল চিফ উ চ প্রু চৌধুরী, মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী এবং চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এপিবিএন এর মাধ্যমে এখানে আমাদের যাত্রা শুরু। আমরা বাংলাদেশে কোন চাঁদাবাজি করতে দেব না, কোন রক্তপাত হতে দেব না। আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমন করে জনগণকে একটা নিরাপদ বাংলাদেশ উপহার দিতে পেরেছি। সেখানে এ তিন জেলায় কেন রক্তপাত হবে?

তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। আপনারা সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করুন, পুলিশকে সন্ত্রাসীদের তথ্য দিন। পুলিশ আপনাদের পাশে থাকবে। সন্ত্রাসীদের আমরা আইন অনুযায়ী শাস্তি দিব।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করা হয়। শান্তি চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল, এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। প্রাণহানি, রক্তপাত, অশান্তি, খুনোখুনির পরিবর্তে এ অঞ্চলের মানুষকে বাংলাদেশের মূলধারার সাথে যুক্ত করে এগিয়ে নেয়াই মূলত শান্তি চুক্তির মূল উদ্দেশ্য।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এপিবিএন’র ডিআইজির কার্যালয়, ১৮ এপিবিএন রাঙ্গামাটি, ১৯ এপিবিএন বান্দরবান, ২০ এপিবিএন খাগড়াছড়ির সদর দপ্তর, ১৮ এপিবিএন আঠারো মাইল ক্যাম্প, ১৯ এপিবিএন রাবার বাগান ক্যাম্প এবং ২০ এপিবিএন পুরাতন পঙ্খিমোড়া ক্যাম্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by