প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২২ , ৫:৪০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানকে পারিবারিক গোরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় বাড়ির পেছনের মাঠে হাদিসুরের জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন পেস ইমাম মো. জিয়াউর রহমান।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি এসে পৌঁছায় হাদিসুরের মরদেহ। লাশ আসার খবরেই গোটা গ্রামজুড়ে হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়। স্বজন হারানোর কান্না আর বিলাপে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।
এসময় হাদিসুরের লাশ দেখতে ভিড় করেন আত্বীয়স্বজনসহ এলাকাবাসী। কফিনের ভেতর পুড়ে কয়লা হওয়া হাদিসুরের মরদেহ দেখে চিৎকার করতে থাকেন মা-বাবা, ভাইবোনসহ স্বজনরা। স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি এলাকার নারী-পুরুষরা।
নিহত হাদিসুরের ছোটভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স জানান, আগেই দাফনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। রবিবার দুপুরে লাশ আসার কথা থাকলেও ইস্তাম্বুলে তুষারপাতের কারণে লাশ আনা সম্ভব হয়নি। পরে আমার ভাইয়ের লাশ সোমবার ঢাকা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বাঁচার জন্য যে আমাদের আর কিছুই রইলো না। এই বলে কান্নায় ভেঙ্গ পরেন প্রিন্স।
আজ সকাল ১০টায় নিজ বাড়ির পেছনের মাঠে হাদিসুরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহৃদ সালেহীন, বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যন মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বেতাগী পৌর মেয়র এবিএম গোলাম কবির, ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খানসহ আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি, এলাকার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহৃদ সালেহীন বলেন, হাদিসুরের পরিবারের এ ক্ষতি অপূরণীয়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবেদন জানাই তিনি যেন হাদিসুরের পরিবারে প্রতি খেয়াল রাখেন এবং তাদের আর্থিক সহায়তা দেন। সেজন্য অনুরোধ করছি। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিস্ফোরণে মারা যান জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।