আন্তর্জাতিক

দায়িত্ব নিয়ে মার্কিনিদের যা দিলেন বাইডেন

  প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:২৭:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশের দায়িত্ব তো নেননি, যেন দেশের ২৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা নিয়েছেন মাথায়। এরমধ্যেই স্বাক্ষর করছেন একের পর এক নির্বাহী আদেশে। ২২ জানুয়ারি  স্বাক্ষর করেছেন ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের নির্বাহী আদেশে। এ প্রণোদনায় স্বাক্ষরের সময় তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার মতো পরিস্থিতিতে চলে যাচ্ছে। এ প্রণোদনায় আছে খাদ্য সহায়তা, সরকারি ভাতা, বেকারভাতা, আছে ন্যূনতম মজুরি ১৫ ডলার।

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এক শতকের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহামারী আর স্বাস্থ্য খাতে জরুরি অবস্থার মতো কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের সময় পার করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্ব। দিনদিন কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি। গেলো সপ্তাহেও ৯ লাখ মার্কিনি নতুন করে বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষকে ক্ষুধার্ত থাকতে দেয়া যাবে না। মানুষ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে, এটাও বসে থেকে দেখা যাবে না। এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, কোন ডেমোটক্রেট বা রিপাবলিকান ভুগছেন না, ভুগছে পুরো আমেরিকা। দেশের মানুষের সহায়তায় অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরাতে হবে। এখনো সময় আছে দেশের অর্থনীতির হাল ধরার।

বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ বিশ্বাস করেন, দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিনের আওতায় আনলেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার দিকে যাবে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১ কোটি মানুষ দেশটিতে বেকার হয়েছেন। অন্তত ৩ কোটি মানুষ খাদ্য অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। যেসব শিশু দূরে থাকার কারণে স্কুলে যেতে পারছেন না, তারা খাবারও পাচ্ছে না, তাদের জন্য ১৫ শতাংশ খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ যেন সরাসরি মার্কিনিরা পান, সে ব্যবস্থাও করছেন বাইডেন। কেউ যদি স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্য চাকরি করতে না চান, তিনিও নিতে পারবেন বেকারভাতা।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য ঘণ্টায় ন্যূনতম ১৫ ডলার মজুরি ধরে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন বাইডেন। জরুরি অবস্থায় ছুটি প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রেও মজুরি দেয়া হবে কর্মচারীদের। এই কার্যক্রমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ পড়বে কর্মীদের সুবিধা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by