খুলনা

দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ: ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি

  প্রতিনিধি ১২ মার্চ ২০২১ , ৮:১৬:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

দুই সন্তানের জননীকে দুই জন মিলে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করে ধর্ষকরা। চাঁদার টাকা আনতে গিয়ে পুলিশের জালে দুই ধর্ষকই ধরা পড়েছে। অতঃপর ধর্ষকদের পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ায় একটি কোচিং সেন্টারে তার বড় ছেলেকে নিয়ে যায়। সাথে ৪ বছরের ছোট শিশুও ছিল। কোচিং সেন্টারের আরেক ছাত্রের মা বলেন, চলেন আমার বোনের বাড়িতে যাই। আমি সরল বিশ্বাসে তার সাথে সেখানে যাই। ওই ছাত্রের মা আমাকে কুষ্টিয়া এন.এস. রোর্ডের একতারা মোড়ে একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি রুমে বসে থাকা অবস্থায় ওই ভাবীর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। ভাবী আমাকে বসিয়ে বাইরে গিয়ে দরজা আটকে দেয়। সেই রুমে আরেকটি দরজা ছিল সঙ্গে সঙ্গে সেই রুম থেকে দুইটি ছেলে বের হয়ে আসে। তারা আমার ছোট ছেলেকে জিম্মি করে দুই জন মিলে ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তারা।

ওই গৃহবধূ জানান, তারা আমাকে বলে তুই ৫০ হাজার টাকা দিবি না হলে ভিডিও তোর স্বামীর কাছে দিয়ে দেব। আমি হাত-পা ধরলে তারা ২০ হাজার টাকা দিলে কাউকে জানাবে না বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ওই ধর্ষকরা আমাকে ফোন দেয়। পরে আমি কোন উপায় না পেয়ে কুষ্টিয়া পুলিশের কাছে যেই। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে এসআই সাহেব আলী ও এএসআই আসাদের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে একটি টিম কেউ রিকসাচালক সেজে আসামিদের ধরতে সমর্থ হয়।

এদিকে, আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ এলাকার কিছু যুবকের বাধার সম্মুখীন হয়। একপর্যায়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। ঘটনাস্থলে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির উপস্থিত হয়ে আসামিদের ধরে থানায় নিয়ে আসে।

ওই দুই ধর্ষক ও চাঁদাবাজ হলেন কুষ্টিয়া শহরের নারিকেল তলা এলাকার আ. করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম সোহাগ (২৪), আড়ুয়াপাড়া এলাকার শফিউল ইসলামের ছেলে শাকিল আহমেদ (২২)।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আমরা ধর্ষকদের গ্রেফতার করেছি। তাদের খুব শিগগিরই আদালতে চালান দেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by