রাজধানী

দুর্নীতির অভিযোগের জবাব দিলেন ইসি কবিতা

  প্রতিনিধি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৮:৩৩:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশনারদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, আমাদেরকে নয়; প্রতিষ্ঠানকে (ইসি) বিতর্কিত করতে কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ইসি কবিতা খানম বলেন, আমরা এখানে যারা আছি, প্রত্যেকেই ৩০-৩১ বছর চাকরি করে এসেছি। আমাদের পূর্বের চাকরিতে যেভাবে স্বচ্ছ ছিলাম, এখনো সেভাবেই আমরা স্বচ্ছ আছি। আমরা কেউ-ই কিন্তু তখন জানতাম না যে, কমিশনার হিসেবে যোগ দেবে। আর যারা জীবনে স্বচ্ছ থেকেছি, তারা মাত্র পাঁচ বছরের জন্য এখানে দায়িত্ব নিয়ে নিশ্চয় নিজেদের বিতর্কিত করবে না।

নির্বাচনের প্রশিক্ষণের দুর্নীতি সংক্রান্ত নতুন করে আইনজীবীরা রাষ্ট্রপতির কাছে আপনাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কবিতা খানম বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করেছেন এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।  প্রশিক্ষণ যখন থেকে চলছে তখন থেকেই প্রশিক্ষণার্থীদের অনারিয়াম (সম্মানী) দেওয়া হচ্ছে। এখনো দেওয়া হয়। এটা কমিশন থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত।

নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে- খোদ ইসির একজন কমিশনারের মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, এ ব্যাপারে তার কথার বিরুদ্ধে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণের ব্যয় সংক্রান্তে অডিট আপত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, অডিট আপত্তি প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানেই আসতে পারে, এটা দুর্নীতি না। আমি যে খাতে খরচ করেছি, আমি টাকাটা সঠিকভাবে খরচ করেছি কি না, এজন্যই অডিট হয়ে থাকে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছু কিছু সহিংসতা হচ্ছে এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট আছে। তবে আগের তুলনায় সহিংসতা অনেকটা কম। নির্বাচনের পরিস্থিতি যাতে ব্যাহত না হয় তার সব ধরনের পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। প্রার্থীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে নির্বাচনের পরিবেশটা ভালো থাকবে।

ইসি নির্বাচনের কোনো ঘটনা তদন্ত করেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ইসি প্রত্যেকটা অভিযোগ তদন্ত করেছে। কিছু কিছু বিষয় থাকে ইসির এখতিয়ারের বাহিরে, সেগুলো সম্পর্কে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। গত ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে যে ঘটনা ঘটেছে সে কেন্দ্রগুলোতে ভোট স্থগিত করেছি।

প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে কবিতা খানম বলেন, পুলিশ প্রশাসন ইসির পক্ষে মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ যদি আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব। রিটার্নিং অফিসারের কাছে যখন একটি অভিযোগ আসে, তখন তিনি অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং সেগুলো তিনি তদন্ত করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে যে অভিযোগগুলো আমাদের কাছে আসে সেগুলো থানায় মামলার জন্য দেওয়া হয়।

ভোটের মাঠ আপনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের মাঠে আমরা অবশ্য থাকি না।  কিন্তু আমরা আপনাদের নিউজগুলোতো দেখি। যে ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়, সেখানে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান রাখতে যা যা দরকার নির্বাচন কমিশন তা করবে।

গোপন কক্ষে দ্বিতীয় ব্যক্তি কীভাবে ভোট দিচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি কবিতা খানম বলেন, কেন্দ্র এবং বুথ প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকে। যদি প্রিজাইডিং অফিসারের নামে কোনো অভিযোগ আসে তাহলে তিনি আইনের আওতায় থাকবেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by