প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ৬:৫৩:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
উপজেলা এলজিইডি সুত্র জানায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৯ কোটি ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৪০ টাকা ব্যয়ে ১৪০ মিটার সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১ বছরেও ওই সেতুটির সংযোগ সড়কের ধ্বসে যাওয়ার বাঁধ অদ্যাবধি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
দেখা গেছে, গত বছর বর্ষা মৌসুমে প্রবল বন্যার ঘুর্ণায়মান তীব্র স্রোতের তোড়ে সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিম বাম তীর পিলারের গোড়া থেকে সংযোগ সড়কের বাঁধ রক্ষা ব্লক ও মাটি নদীগর্ভে ধসে গিয়ে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ভারি যানবাহন চলাচল করায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নিতাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে গত বছর চাড়াল কাটা নদী পুর্ণ খনন করা হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের ফলে সরাসরি নদীর ঘুর্ণায়মান স্রোতে সেতুর মূল ফটকে আঘাত হানায় সেতুসহ সংযোগ সড়কের ২০ থেকে ৩০মিটার বাঁধ নদীতে ধসে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি আরও জানান, সড়কটি ভাঙন রোধে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে সেতুটি অচিরেই নদীতে ভেঙে পড়বে। সেতুটি ভেঙে গেলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাওয়াসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উপজেলার সাথে নিতাই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক জানান, গত বছর তীব্র ভাঙন দেখা দিলে উপজেলা এলজিইডি, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে জিওব্যাগ, রশি ধরে টানা টানি করে কিছুটা ভাঙন রোধ করলেও পরবর্তীতে মেরামতে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্ষার আগে সেতুটির সংযোগ সড়ক মেরামতের জন্য সরকারের কাছে জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি।
নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। তবে রাস্তা ভেঙে গেলে কেনো ব্রিজ ভেঙে যাবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।