চট্টগ্রাম

নোবিপ্রবিতে বিভিন্ন মেয়াদে ১৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন

  প্রতিনিধি ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ , ৮:২৯:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

বিভিন্ন অপরাধের দায়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) ১৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার নার্গিস আক্তার হেলালী স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের শিক্ষার্থীদের সংঘটিত বিশৃঙ্খলা এবং মারামারি দায়ে এক শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা, আরেক শিক্ষার্থীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার এবং বিশ হাজার টাকা জরিমানা, আরেক শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার, একই অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেজন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং দুই শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন অ্যাকাডেমিক ভবন থেকে রড সরানোর জন্য এক শিক্ষার্থীকে এক শিক্ষার্থীকে দুই বছরের বহিষ্কার ও হলের সিট স্থায়ীভাবে হলের সিট বাতিল করা হয়েছে এবং নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর ইসলামিয়া সড়কে মারধরের ঘটনায় ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে নয় শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

এদিকে বহিষ্কারাদেশের বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বহিষ্কারাদের প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করছেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের একাংশ। প্রশাসন বিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন তারা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের ফলে বিকেল ৪ টা থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রধান ফটকে তালা দেয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কও অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন এসব শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে আসলেও আন্দলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by