চট্টগ্রাম

নোয়াখালীতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে রক্ষা পেল প্রবাসী পরিবার

  প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২১ , ৬:১৪:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

দিদারুল আলম, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কবল থেকে একটি অবরুদ্ধ প্রবাসী পরিবারকে রক্ষা করলেন সুধারাম থানা পুলিশ।

বুধবার সুধারাম থানায় দায়ের করা এক অভিযোগে সদর উপজেলার পশ্চিম চর উরিয়ার আমেরিকা প্রবাসী আবুল কাসেমের পুত্র আবদুল মোতালেব সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ ও সামাজিকভাবে বিবর্জিত সংঘবদ্ধ জাকের হোসেন, মিজানুর রহমান বিপ্লব, সাজ্জাদুর রহমান আরিফদের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী দৌরাত্ম্যের বিচার দাবি করেছেন।

অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা প্রবাসী আবুল কাসেমের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার নামে চরম সুবিধা ভোগ করে চলছিলেন।
সম্প্রতি ওই প্রবাসী পরিবারটি সংঘবদ্ধদের দাবি করা নিত্যকার চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সংঘবদ্ধরা আবুল কাসেম ও তার পরিবারকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রচার করে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সুনাম ও সুখ্যাতি বিনষ্ট করে চলে।

সংঘবদ্ধদের এহেন কার্যকলাপ বিষয়ে অতিষ্ঠ প্রবাসী পরিবারটি সমাজের গণ্যমান্যদের জানালে উপরন্ত তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এ পরিবারটিকে সর্বশান্ত করতে ওঠে পড়ে লাগে।
প্রবাসী আবুল কাসেমের পুত্র আবদুল মোতালেব অভিযোগ করেন, সংঘবদ্ধরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গত ২৪ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটায় এ পরিবারের বসত বাড়িতে ডুকে চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ব্যাপক তান্ডব ও ধ্বংসলীলা চালায়। এ সময় তাদের সন্ত্রাসী মহড়া, হুমকি- ধমকির ফলে পুরো বসত বাড়িই যেন এক নারকীয় পরিবেশের সৃষ্ট হয়। এ সময় ও সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভীত হয়ে ওই পরিবারটি বসত ঘরের দরজা, জানালা বন্ধ করে দেয় আত্মরক্ষার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে, সন্ত্রাসীরা ঘরের দরজা, জানালায় আঘাত করে ভীতির সঞ্চার করলে ভীত সন্ত্রস্ত পরিবারটি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চায়।

এ সময় সুধারাম থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মিজান উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের উপিস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধরা ঘটনাস্থল হতে ছিটকে পড়ে।
এ সময় তারা এ পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গুম করাসহ নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়ায় ওই পরিবারটি বর্তমানে চরম আতঙ্ক ও বিষন্ন সময় পার করছেন।
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইমদাদুল হক বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। এটি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্যে এএসআই গিয়াস উদ্দিনকে দেয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by