দেশজুড়ে

প্রধানমন্ত্রী বরাবর চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রসেনার স্মারকলিপি পেশ

  প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২০ , ৮:৪১:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো : রাজাকারপুত্র কথিত পীর কর্তৃক বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার ৭ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ। আজ ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নেতৃবৃন্দ এই স্মারকলিপি দেন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ স্মরকলিপি প্রদান কর্মসূচিেেতা জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে পবিত্র ইসলাম ধর্মের শান্তির বাণী প্রচার-প্রসার করেছেন সুফিবাদি অহিংস আউলিয়া কেরাম। তাই আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলমান সুফিবাদি মানবতাবাদী অহিংস প্লাটফরম আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত তথা সুন্নীয়তের অনুসারী। আর সুফিবাদি প্রগতিশীল উদার মতাদর্শ বিশ্বাসী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ইসলামী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। যার নিবন্ধন নং-৩৫। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কার্যক্রমে এ দলের রয়েছে অনেক অবদান। বিশেষতঃ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা দেশ-জাতির স্বার্থে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ও স্বাধীনতা বিরোধী ৭১’র ঘাতক-দালাল জামাত-শিবিরের ইসলাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার। রাজাকার গুরু জামাতনেতা গোলাম আজমের ফাঁসিসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সর্বপ্রথম দাবি জানিয়েছিল, এরপর যা দেশপ্রেমিক মানুষের গণ দাবি ও আন্দোলনে পরিণত হয়। মানবতা বিরোধী অপরাধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তরান্বিত হয়। পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল ও জনমত গঠনে ভূমিকা রেখেছে। অন্যদিকে ২০১৩ সালে হেফাজতি জঙ্গিরা যখন সরকার উৎখাতের প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিল, তখন সরকারের পাশে ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের উদ্যোগে গঠিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত। এ সংগঠনের ব্যানারে ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল চট্টগ্রামে জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ১০ লক্ষাধিক সুফিবাদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী মহাসমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থানের কারণে জামাত-শিবিরের হাতে বিভিন্ন সময়ে এ দলের ৯ জন নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন, গুম হয়েছেন একজন, দুটি চোখ হারিয়েছেন একজন, আহত হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স¤প্রতি চট্টগ্রামের পীর নামদারী এক রাজাকার পুত্র মৌ. আবুল কাশেম নূরী এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতার সমন্বয়ে গঠিত আনজুমানে রজভিয়া নূরীয়া সংগঠন থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার দলীয় নেতা কর্মীদের উপর হামলা করার হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যামামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। এমনকি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের খুনি, জঙ্গি, দুষ্কৃতিকারী বলে প্রচারও করছে ও মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে হয়রানির হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। অথচ, আমাদের ৪০ বছরে ইতিহাস নিষ্কলুষ ইতিহাস। আমাদের কোন নেতাকর্মী দ্বারা কখনও কারো উপর হামলা হয়েছে বা কাউকে আঘাত করেছে বা আহত করেছে-এরকম কোন নজির নাই। অন্যদিকে, হুমকিদাতা ষড়যন্ত্রকারী মৌ. আবুল কাশেম নূরীর পিতা আবদুল মোনাফ পীং আবদুর রশিদ, সাং- কোব্বাত মাঝির বাড়ী, ১৮ নং ধর্মপুর ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম একজন ৭১’র দেশদ্রোহি ও কুখ্যাত সক্রিয় রাজাকার। (সূত্রঃ ‘মুক্তি’ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ড এর দ্বি-বার্ষিক প্রকাশনা। আ ক ম বাহার সম্পাদিত ২৬৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত মুক্তিযুদ্ধের দলিল ভিত্তিক প্রামাণ্য ‘মুক্তি’ স্মারকের ৯৯ পৃষ্ঠা। প্রকাশকাল-১৬ ডিসেম্বর ২০১৬)। হঠাৎ ওই রাজাকার পুত্র ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের আস্ফালন বৃদ্ধি পাওয়া এ স্বাধীন সোনার বাংলার শান্তিকামী জনগণের জন্য অশনি সংকেত। দৃশ্যত কিছু সংখ্যক নামধারী বিএনপি জামাত সন্ত্রাসীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী মুখোশধারী ব্যক্তিদের প্রত্যেক্ষ-পরোক্ষ সমর্থন-সহযোগিতার ফলে রাজাকারপুত্রের এমন উগ্রতা দৃশ্যমান হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। সারাদেশের জেলা শাখাগুলোর ন্যায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলা নেতৃবৃন্দও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে দেশের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা এবং সূফিবাদি শান্তিকামী নেতাকর্মীদেরকে খুনি, জঙ্গি ও দুষ্কৃতিকারী অপবাদ দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারাকারীদের চিহ্নিত করে আইন-আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করার আহŸান জানান। স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মোস্তফা, রেজাউল করিম ইয়াছিন, মামুনুর রশিদ, হাফেজ মুহাম্মদ আতিক, আজাদ রানা, মো: আতিকুর রহমান, মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মঞ্জুরুল ইসলাম রানা, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল জাবের, এইচ এম এরশাদুল করিম, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, এইচ এম বাবর আলী, কাজী মো: আরাফাত, মো: ওয়াহিদুল আলম, মো: রবিউল হোসেন, মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী, মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন, মুহাম্মদ ফাহাদ বিন আজাদ সিদ্দিকী প্রমুখ

আরও খবর

Sponsered content

Powered by