চট্টগ্রাম

বন্ধুকে হত্যা করে মাটি চাঁপা, পুড়ে ফেললেন পোশাক ও আলামত

  প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:৪২:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মাহফুজুর রহমান, চাঁদপুর:

নিখোঁজের চার দিন পর চাঁদপুরে সোহেল বেপারী (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সোহেলের দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তাঁরা।

সদর উপজেলার দোকানঘর এলাকার ফজলু বেপারীর ছেলে সোহেল বেপারী। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- সকদিরামপুর গ্রামের শাহজাহান ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩০), নাজির হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (৪২)।

পুলিশ জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সোহেলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর স্ত্রী জোসনা। এ সময় তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই দিন রোববার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর শাহাদাত ও জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যার দায় স্বীকার করে তাঁরা জানিয়েছেন, গত বুধবার রাতে ৫ বন্ধু মিলে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর বাইক্কার বাগান এলাকায় মাদক সেবন করতে যায়। সেখানে মাদক সেবনের এক পর্যায়ে মাদকের টাকা নিয়ে উভয়ের মাঝে বাগবিতন্ডা হয়। এসময় সাহাদাত, কাউছার, জাকির ও কাদিরসহ চার তাদের সাথে থাকা রশি দিয়ে সোহেল বেপারীর গলায় পেঁছিয়ে ধরলে তার মৃত্যু হয়। পরে জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে মরদেহ পুঁতে রাখেন। হত্যার আলামত ধ্বংসের জন্য নিজেদের পরনের পোশাক ও গলায় ফাঁস দেওয়া রশি পুড়িয়ে দেন তাঁরা।

লাশ উদ্ধার কালে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আজিজুন নাহার, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মান্নান, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদসহ পুলিশ সদস্যরা।

জানা যায়, নিহত সোহেল বেপারী ও আটককৃত সাহাদাতের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জিডি করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার ও দুইজনকে আটক করতে সমর্থ হয় পুলিশ।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by