স্বাস্থ্য

বন্ধ হচ্ছে না গণটিকাদান, চলবে আরও দুদিন

  প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:৪৯:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রথম ডোজের গণটিকাদান কর্মসূচির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা দেওয়া হবে। রাজধানীসহ সারা দেশে টিকাদানে আগ্রহের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টিকা নিতে সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখে গণটিকার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবেন।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীসহ সারা দেশে ১ কোটি মানুষকে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। সারা দেশে অসংখ্য মানুষ প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। নিবন্ধন ছাড়াই এনআইডি, জন্মনিবন্ধন কিংবা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে টিকা নেওয়া যাচ্ছে।
 

 

দেশে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের মজুত আছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, দেশে করোনা টিকার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আজ যত সময় মানুষ থাকবেন, তত সময় ধরে টিকা দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানাতে চাই রাত হলেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সবাই টিকা পাবেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যক্রম দেখা হবে, তারপর আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি মানুষ। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৮ কোটি ১৭ লাখের বেশি মানুষ।


গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
এরপর প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে। ওই ঘোষণার পর দেশের টিকাদানকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হবে না। তবে প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ও বুস্টার (তৃতীয়) ডোজকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে রোগী বাড়তে শুরু করে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ও হার দ্রুত বাড়তে থাকে।

গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক শনাক্তের হার ২০ শতাংশের বেশি ছিল। এরপর  থেকে হার কমছে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৬ জন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by