চট্টগ্রাম

বাজারপ শীতকালীন সবজির চড়া দাম

  প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০২২ , ৭:৪৫:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :

ষড়ঋতুর মধ্যে “শীত কাল” টা বেশ উপভোগের, প্রায় সব মানুষের মাঝেই এই ঋতুকে ঘিরে চলে বিভিন্ন আয়োজন,নিত্যদিনের পোশাখ থেকে শুরু করে পরিবর্তনের ছোয়া পড়ে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায়।
দেশে এক ঋতুতে এক এক ধরনের ফসল জন্মে। শীতকালে আমাদের দেশে নানা রকম শাকসবজি উৎপাদন হয়। যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, ধনেশাক, পালংশাক, লালশাক প্রভৃতি। শীতকালীন শাকসবজিতে আছে মানব দেহের জন্য উপকারী ভিটামিন এ, বি, সি এবং ক্যালসিয়াম, লৌহ, আয়োডিন প্রভৃতি। অতি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে এই সকল সবুজ শাকসবজিতে,শীতের সময় স্থানীয় বাজার গুলোতে সহজেই সকল শ্রেনীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে শীতকালীন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই সকল শাকসবজি।
শীত এলেও স্থানীয় কাঁচাবাজার গুলোতে জেলার উৎপাদিত পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজির উপস্থিতি নেই বল্লেই চলে।জেলার স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা পূরনে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে আগত সবজির উপরি বেশি নির্ভরশীল স্থানীয় সবজি পাইকারি বিক্রেতারা।
তাই স্থানীয় বাজার গুলোতেও সবজির দামের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।
খুচরা ব্যাবসায়িরা এ জন্য দুষছেন পাইকারি সবজি বাজারের সিন্ডিকেট কে,সবজি পাইকারি বাজার নিয়ন্ত্রণ মুস্টিমেয় ২-৩ জন ব্যাবসায়ি জড়িত থাকায় মূলত তারাই এর মূল্য নির্ধারন করে দেয় ফলে খুচরা বাজারে ভোক্তার নিকট চড়া দাম নেয়া ছাড়া উপায় নেই।
সরজমিনে স্থানীয় বান্দরবান বাজার,বালাঘাটা,মগ বাজার,কালাঘাটা বাজার ঘুরে দেখা গেলো সবজি বাজারের তারতম্য।
স্থানীয় খুচরা বাজারে শীতকালীন কয়েকজন খুচরা ব্যাবসায়ির সাথে কথা বলে জানাযায় পাইকারী বাজারে ফুলকপি ২৫-২৮,খুচরা বাজারে ফুলকপি দেশি৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি পাইকারি বাজারে ২৫-৩০,খুচরা বাজারে ৩০-৪০, ওলকপি, শালগম, টমেটো পাইকারি ৬০ টাকা, খুচরা ৭০ টাকা নতুন আলু পাইকারি ৪০-৪৫ টাকা,খুচরা বাজারে ৫০-৫৫ টাকা, গাজর পাইকারি বাজারে ৬০-৭০ টাকা,খুচরা বাজারে ৮০ টাকা পর্যন্ত, বেগুন পাইকারি বাজারে ২৫-৩০ টাকা,খুচরা বাজারে ৩৫-৪০ টাকা , দেশি মুলা পাইকারি বাজারে ৮-১০ টাকা,খুচরা বাজারে ২০-২৫ টাকা, লাউ পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫,খুচরা বাজারে ৪০-৫০ টাকা শিম পাইকারি বাজারে ৪৫-৫০ টাকা খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকা, এভাবেই ধনেশাক, পালংশাক, লালশাক সহ শীতকালীন সবজির কেজি প্রতি পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারের পার্থক্য থাকে ১০-১৫ টাকা।

লিটন তালুকদার একজন খুচরা ব্যাবসায়ি জানালেন চট্টগ্রাম থেকে আশা সবজি পাইকারী ব্যাবসায়িদের হাত ঘুরে তারা কিনেন, সবজি কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা লাভ করে তা গ্রাহকের কাছে দেন।মাই চুই উ, একজন পাহাড়ি কৃষক,জেলা সদরের কুহালং থেকে কাঁচা সবজি নিজে বহন করে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন বান্দরবান শহরের বাজারে,তিনি জানালেন সবজি উৎপাদনে ব্যায় ও পরিবহনের খরচ বেশি পড়ে।এতে খুচরা বাজারে যত সম্ভব কম লাভে সবজি বিক্রি করছি।
খুচরা ক্রেতা কিউ কিউ মার্মা যেহেতু স্থানীয় উৎপাদিত দেশি শীতকালীন সবজি গুলো বাজারে আশে নি তাই দামটা একটু বেশি।

বান্দরবান কাঁচাবাজারের পাইকারি সবজি ব্যাবসায়ি মেঃ ইয়াছিন, তিনি জানালেন চট্টগ্রাম হতে কাঁচা সবজি বান্দরবান বাজরে নিয়ে আসেন।
সবজি পরিবহনে বিভিন্ন লাইন চার্জ দিয়ে,বাজারের আনুসাংঙ্গিক ইজারা খরচ যোগ করে ৫ টাকা লাভে তা খুচরা ব্যাবসায়িদের কাছে দেই।
তিনি বলেন পাইকারি সবজি কাঁচাবাজারে কোন সিন্ডিকেট দাম নিয়ন্ত্রণ করে এটা সত্যি নয়,জেলা সদর সহ আশেপাশের উপজেলা ও জেলা সদরের কুহালং ইউনিয়নের ভরাখলি,ক্যামলং,সাইঙ্গা,গোয়াইল্লাখোলা,মাঝের পাড়া,টংকাবতি এসব এলাকা হতে যদি শীতকালীন সবজি স্থানীয় বাজারে আশে তাহলে শীতকালীন সবজির দাম অনেকটা কমে আসবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by