চট্টগ্রাম

বিজয়নগরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চান্দুরা মোড়ে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি

  প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২১ , ৬:০৬:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

চান্দুরা মোড়

আলমগীর হোসেন বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরা মোড়ে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি তুলেছেন উপজেলাবাসী। দিন দিন জনসংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়লেও মানুষের মৌলিক চাহিদা সিমিত রয়ে গেছে। যানবাহন বাড়লেও বাড়ছেনা রাস্তাঘাট, ফলে যানজট দীর্ঘতর হচ্ছে। বিজয়নগর উপজেলার প্রবেশের একমাত্র রাস্তা।

এ রাস্তা দিয়ে উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলার প্রধান সড়ক হওয়ায় দৈনিক প্রায় লক্ষাধিক যাতায়াত করেন। যার ফলে ব্যস্ততম হয়ে থাকে রাস্তাটি।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হওয়ায় দুরপাল্লার দ্রুত গতির যানবাহনের চলাচল নিয়মিত দীর্ঘতর হচ্ছে যার ফলে প্রতিনিয়ত রাস্তা পারাপারে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অধিকাংশ মানুষ। এর থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা ফুটওভার ব্রিজের দাবিতে গত ০২ নভেম্বর, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চান্দুরা নামক স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

লিখিত আবেদনের অনুলিপি বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহি অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

আবেদনে উল্লেখ করা হয় প্রতিবছর মৃত্যুর হার ও দুর্ঘটনা এড়াতে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাকবাংলা চৌরাস্তার মোড়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি বলে মনে করেন উপজেলাবাসী।

এই মোড়ে বিশেষভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ইসলামপুর স্কুল এন্ড কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিকেল কলেজ, মাধবপুর কলেজ, দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী, তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপদজনক মোড় দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়, দেখা যায় অনেক ছাত্রছাত্রী এসব যাতায়াতের ভয়ে অকালে শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়ে।

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরা চৌরাস্তাটি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যা দিন দিন দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এই নাভি মোড় দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত কর্তব্যের তাগিদে দশটি ইউনিয়নে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ বিভিন্ন জেলায় ও জায়গায় চলাফেরা করে থাকে। শীতকালীন সময়ে আতঙ্কের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে পড়ে, ঘন কুয়াশায় রাস্তার কোন পাশেই পরিষ্কার কিছু না দেখাতে রাস্তা পারাপারে দুর্ঘটনার ভয়টা আরো বেশি।

নির্বাহী প্রকৌশলী পংকজ ভৌমিক দৈনিক ভোরের দর্পণকে বলেন, এটা মহাসড়ক, আমার দায়িত্বে না থাকলেও, আমি সেটা দায়িত্ব নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অথবা আবেদনটি গ্রহণ করে, দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে পৌঁছে দেব।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by